অনেকটা হঠাৎ সিদ্ধান্তে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হল ফাঁসির দণ্ড পাওয়া বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে। মাত্র ৫ দিন আগে তাদের কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আনা হয়েছিল।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রদীপ ও লিয়াকতকে বহনকারী একটি প্রিজনভ্যান কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে পৌঁছায়। পরে তাদের সেখানকার হাইসিকিউরিটি পার্ট-৪-এর একটি কনডেম সেলে তাদের রাখা হয়েছে। অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করেই তাদের কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতকে আরও বেশি নিরাপত্তার মধ্যে রাখতেই কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ কুমার ও লিয়াকত আলীকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়। এরপর ফাঁসির আসামিরা যেখানে থাকেন, তাদের দুজনকেই সেখানে রাখা হয়।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেলার নেছার আহমেদ সেই সময় বলেছিলেন, মূলত নিরাপত্তার কথা ভেবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের আদালতে প্রদীপের বিরুদ্ধে করা দুদকের একটি মামলার বিচারকাজ চলমান রয়েছে।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মাথায় ঝুলছে ফাাঁসির আদেশ। গত ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল তার আদেশে এই দুজনের মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও সিনহাকে হত্যায় সহযোগিতা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।