Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হাজী সেলিমকে ১০ বছর কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০১:২৪ PM
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০১:২৪ PM

bdmorning Image Preview


জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছরের কারদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা বহাল রেখে হাইকোর্টের রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এরপর দুই বিচারপতির স্বাক্ষর শেষে রায় প্রকাশ করা হয়।

আদালত রায়ে জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজি সেলিমকে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। চূড়ান্ত রায়ে তা বহাল রাখা হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণ হাইকোর্ট বলেছে, রায়ের আগে বিচারপতিদের অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।

গত বছরের ৩১ জানুয়ারি এ মামলার আপিলের পুনঃশুনানি শুরু হয়। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

হাজি সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ও তার ছেলে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।

২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করে হাইকোর্ট। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হয়।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজি সেলিম। এরপর ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করে।

পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি রায় বাতিল করে আবার হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।

পরে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ৮ নভেম্বর তিনি দুদক থেকে এ মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরদিন ৯ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত করতে তিনি আদালতে আবেদন (মেনশন) করেন। এরপর আপিলটি কার্যতালিকাভুক্ত হওয়ার পর ওই বছরের ১১ নভেম্বর নথি তলব করে হাইকোর্ট।

Bootstrap Image Preview