করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রোগী ও শনাক্তের হার দিয়েছে নতুন লাফ।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৩৭৮ জন নতুন রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় এই পরিমাণ রোগী গত গত ২৬ আগস্টের পর সর্বোচ্চ। সে দিন দেশে এক দিনে ৪ হাজার ৬৯৮ জন রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় দেশে রোগী পাওয়া যায় ৩ হাজার ৩৫৯ জন। অর্থাৎ এক দিনেই রোগী বেড়েছে এক হাজার ৩৩৯ জন।
রোগী বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় যত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৪ দশমিক ৬৬ নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।
এর চেয়ে বেশি হারে রোগী শনাক্ত হয় গত ২৫ আগস্ট। সেদিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষাও আগের দিনের চেয়ে বেশি হয়েছে। ৮৫৩টি পরীক্ষাগারে ২৯ হাজার ৮৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২৭ হাজার ৯২০টি। অর্থাৎ করোনার উপসর্গও বেশি দেখা যাচ্ছে, যা আবার গণসংক্রমণের প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ১৪.৫২%
চট্টগ্রামে প্রতিদিনইবাড়ছে করোনা রোগী। শুক্রবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিদেন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৯৬ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২৬০ জন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের ১৩টি ল্যাবে ২ হাজার ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ১৮৮ জন। তাদের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৭৫ হাজার ৬১৪ জন। অবশিষ্ট ২৮ হাজার ৫৭৪ জন বিভিন্ন উপজেলার। অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ হাজার ৩৩৫ জন। এর মধ্যে ৭২৫ জন নগরীর এবং ৬১০ জন বিভিন্ন উপজেলার।