Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দু’একদিনের মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারী ২০২২, ০১:১৯ PM
আপডেট: ০৮ জানুয়ারী ২০২২, ০১:১৯ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে কারিগরি কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী দু’একদিনের মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে ৪০০ গুন বেশি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো পরিস্থিত এখনো হয়নি। আক্রান্তের হার অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, চলমান ইউপি নির্বাচনসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এটা খুবই উদ্বেগজনক। নিয়ম না মানলে দেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হবে।

এর আগে, করোনাভাইারাসের ভয়াবহ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে সব সামাজিক (বিয়ের অনুষ্ঠান, মেলা ইত্যাদি), ধর্মীয় (ওয়াজ মাহফিল) ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধ করাসহ ৪ সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) কোরোনা সংক্রান্ত কমিটিটির ৫০তম সভায় এই সুপারিশ করা হয়। সভা শেষে পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ এ তথ্য জানা গেছে।

কমিটির সুপারিশে প্রয়োজনে কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণের জন্য আইনী ব্যবস্থা যেমন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়।  কমিটির সুপারিশে আরও বলা হয়, শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা, হাত পরিষ্কার রাখা ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য সব ধরণের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

এছাড়া, নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতের উদ্দেশে সব সামাজিক (বিয়ের অনুষ্ঠান, মেলা ইত্যাদি), ধর্মীয় (ওয়াজ মাহফিল) ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ এ সময় বন্ধ করতে হবে। সভা/কর্মশালার ব্যবস্থা অনলাইন এ করা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণের বিষয়ে নিয়মিত নজরদারির বিষয়ে পরামর্শক কমিটি গুরুত্বারোপ করে।

পাশাপশি, শিক্ষার্থীসহ সবাইকে দ্রুত টিকার আওতায় নিয়ে আসা, সব পয়েন্ট অব এন্ট্রিতে স্ক্রিনিং, কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন আরও জোরদারকরণ এবং  সুপারিশ করা হয়। সংক্রমণ বেড়ে গেলে তা মোকাবিলায় হাসপাতাল প্রস্তুতি, বিশেষ করে পর্যাপ্ত সাধারণ ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) শয্যা, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেয় কমিটি।

 

Bootstrap Image Preview