ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন অভিনয়শিল্পী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ৪ ডিসেম্বর প্রতারণার এই মামলাটি করেন ইভ্যালির গ্রাহক সাদ স্যাম রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। আজ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদুর রহমান এ কথা বলেন।
ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘মামলায় বাংলাদেশের কয়েকজন সেলিব্রিটির নাম আছে। এর মধ্যে আছেন তাহসান, শবনম ফারিয়া ও মিথিলা। তাঁরা এ মামলার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর আসামি। তাঁরা আমাদের নজরদারিতে আছেন। যেকোনো সময় তাঁরা গ্রেপ্তার হতে পারেন।’
পুলিশের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো কোনো লিগ্যাল নোটিশ পাইনি। আমি আসলে কিছুই ডিটেইল জানি না। এখনো বুঝতে পারছি না। বিষয়টির কিছুই জানি না।’
মিথিলা আরও বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। আমি তো আসলে কিছু করি নাই। আমি তো ওখানে (ইভ্যালিতে) ছিলাম এক মাসের মতো। আমার জন্য শকিং। কখনো হয় নাই তো। আসুক লিগ্যাল নোটিশ।’
মিথিলা বলেন, ‘আমরা তো হাজারের বেশি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করি। এখন একটি নিয়ে মামলা হলো। দেখি।’
এদিকে মামলার অপর
আসামী তাহসান খান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। কনসার্টে অংশ নিতেই সেখানে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে মামলার বিষয়ে তিনি জানান, মামলার বিষয়ে জেনেছি। এ বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
তাহসান বলেন, ‘প্রচারক কখনো প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক দায়ভার নেবেন না। প্রচারণার দায়িত্ব পালন করা কোনোভাবেই অপরাধী হতে পারে না। আমি চুক্তি করেছিলাম। চুক্তি অনুযায়ী আমার বিজ্ঞাপন করার কথা ছিল। কিন্তু আমি বিজ্ঞাপন করিনি। এর আগে দুটো লাইভ করে অনেক কমপ্লেইন পেয়েছি। যার ফলে আর অগ্রসর হইনি। চুক্তি বাতিল করেছি। ’
মানহানির মামলা করবেন জানিয়ে তাহসান বলেন, ‘গত সাত মাস ধরে মানসিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আর কিছু চটকদার শিরোনাম দেখে অবাক হয়েছি। মামলা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার (৯ডিসেম্বর) রাতে এই তথ্য প্রকাশ হলো কেন? এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না জানি না। ’
তাহসান বলেন, ‘যে কোনো মুহূর্তে গ্রেফতার বা নজরদারিতে বলতে কী বোঝায়? হ্যাঁ, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় তাদের তো একটা নজরে রাখতেই হয়। যা হবে আইনগতভাবে হবে। মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। যদি আমাদের দোষ না পাওয়া যায় তাহলে আমাদের তো কোনো সমস্যা হবে না। আর তদন্ত করে পেলে তখন যেটা আইনত হবে তাই হবে। ’
জানা গেছে, এই মামলায় ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা ছাড়াও মামলায় পাঁচ নম্বর আসামি করা হয়েছে তাহসানকে। আট ও নয় নম্বর আসামি করা হয়েছে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও রাফিয়াদ রশিদ মিথিলাকে।
মামলার এজাহারে সাদ স্যাম রহমান অভিযোগ করেন, ইভ্যালি থেকে ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকায় মোটরসাইকেল অর্ডার করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয়নি, টাকাও ফেরত পাননি।