Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘প্রশিক্ষিত’ ইকবাল কেন কোরআন শরীফ চুরি করে ?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০৯:০৭ PM
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০৯:০৭ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


কুমিল্লায় ধর্ম অবমাননায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন কক্সবাজারের চকরিয়ার একটি মসজিদ থেকেও পবিত্র কোরআন শরীফ চুরি করেছিল। সেখানে মসজিদের খাদেম ও স্থানীয়রা তাকে গভীর রাতে আটক করেন। ওই ঘটনার মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও এসেছে সময় সংবাদের কাছে। কী কারণে কোরআন শরীফটি তিনি নিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এদিকে সিআইডির একটি সূত্র বলছে, ইকবালকে আটকের পর থেকেই তাঁকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলা হচ্ছে। কিন্তু সংস্থার কর্মকর্তাদের মনে হয়েছে, তিনি পেশাদার অপরাধীদের মতো ‘প্রশিক্ষিত’।

গত ১৭ অক্টোবর রাত দুইটা ৩০ মিনিট। কক্সবাজারের চকরিয়ার সবুজ পাহাড় মসজিদের খাদেম আজান শুনতে পান। ঘুম ভেঙে তিনি দেখতে পান মসজিদের মিনারে উঠে আজান দিচ্ছেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে আটকের পর তার কাছে গামছায় পেঁচানো একটি কোরআন শরীফ দেখতে পান। চোর ভেবে তাকে আটক করে রাখা হয়। পরদিন সকালে তাকে স্থানীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে সন্দেহভাজন ব্যক্তি জানান তার বাড়ি কুমিল্লায়। নাম ইকবাল হোসেন। পুরো বিষয়টি তারা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন।

ইকবাল জানান, ১৬ অক্টোবর ফজরের নামাজের সময় তিনি চকরিয়া রোডের একটি মসজিদে প্রবেশ করেন। মসজিদের অজুখানায় থাকা একটি গামছা দিয়ে তিনি পবিত্র কোরআন শরীফটি পেঁচিয়ে বের হয়ে যান।

সবুজ পাহাড় মসজিদের খাদেম ও স্থানীয়রা ইকবালের পরিচয় ও কোরআন শরীফটি তাদের নয় নিশ্চিত হয়ে গামছা ও কোরআন শরীফটি রেখে তাকে একটি পুরাতন জামা দিয়ে ছেড়ে দেয়। কক্সবাজারে আটকের সময় ওই জামাটি তার গায়ে ছিল।

রিমান্ডে থাকা ইকবাল হোসেন চকরিয়ার মসজিদ থেকে কোরআন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

চুরি করা কোরআন শরীফটি কোনো মন্দিরে রাখার পরিকল্পনা ছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

 

পূজামণ্ডপে কোরআন : ইকবাল আরো পাঁচ দিনের রিমান্ডে

 

কুমিল্লার নানুয়াদিঘির পাড়ে অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে আরো পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৩টায় তাদের কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানার আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সাতদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত পাঁচদিনের মঞ্জুর করেন। 

বেলা ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডি, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক।

অন্য আসামিরা হলেন প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন, রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।

কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার মামলা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলার তদন্ত ভার পায় সিআইডি।

এর আগে কোরআন অবমাননার মামলায় গত ২৩ অক্টোবর প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন, শহরের দারোগাবাড়ি মাজারের দুই খাদেম ফয়সাল, হুমায়ুন এবং জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ নম্বরে  কল দেওয়া ইকরামের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

২৫ অক্টোবর এই মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সেদিন মধ্যরাতেই জিজ্ঞাসাবাদের পর ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে দারোগাবাড়ি মাজার এলাকা থেকে মূর্তির গদাটি উদ্ধার করা হয়।

Bootstrap Image Preview