করোনা মহামারির মধ্যে চোখে কনজাঙ্কটিভাইটিসের মতো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। কিন্তু করোনার ফলে অন্ধত্বের প্রকোপও বাড়ছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি জানতে এরই মধ্যে গবেষণা শুরু করেছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)। করোনায় মৃতদের চোখে ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কি না তা দেখতে চোখের নানা অংশে পরীক্ষা করবেন সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা।
ন্যাশনাল আই ব্যাংকের ৩৬তম চক্ষুদান পক্ষকালীন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এইমসের আর পি সেন্টার ফর অপথ্যালমিক সায়েন্সের প্রধান ডক্টর জে এস টিটিয়াল এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই পাঁচটি নেত্রগোলক সংগ্রহ করা হয়েছে। কোভিডের ফলে কর্নিয়া, অপটিক নার্ভ বা রেটিনায় কোনো প্রভাব পড়ে কি না তা খতিয়ে দেখতেই এই গবেষণা চালানো হবে।
আর পি সেন্টারের আরেক চিকিৎসক ডক্টর নম্রতা শর্মার মতে, কোভিডের সঙ্গে অন্ধত্বের এখনও পর্যন্ত কোনও সরাসরি যোগাযোগ মেলেনি। বহু আক্রান্তরা কনজাঙ্কটিভাইটিসেও ভুগেছেন। কিন্তু তার ফলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর খবর মেলেনি। যদিও মিউকরমাইকোসিসের প্রভাবে দৃষ্টিশক্তিতে ব্যাপক প্রভাব দেখা গেছে।
বাংলাদেশে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে যাতে দেখা গেছে যারা করোনা ভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ভালো অ্যান্টিবডি গড়ে উঠেছে এবং এদের সংক্রমেনের হার মাত্র দশমিক ৪৯ শতাংশ।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় বা সিভাসু এর সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশ জানিয়েছেন টিকা গ্রহণকারীদের নিয়ে এই গবেষণায় দেখা গেছে তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার নগণ্য ও মৃত্যু-ঝুঁকি নাই বললেই চলে।
সিভাসু'র এই গবেষণায় দেখা গেছে টিকা গ্রহণের পর আক্রান্ত হলেও রোগীদের গুরুতর শ্বাসকষ্টে ভুগতে হয়নি কিংবা আইসিইউতে নেওয়ার মত জটিলতা দেখা দেয়নি।