Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার গাইডলাইন প্রকাশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৫৭ PM
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


করোনা সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ খোলার গাইড লাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। 

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ৩৯ পৃষ্ঠার এ গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়। এর আগেও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি গাইডলাইন প্রকাশিত হয়েছিল।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার গাইডলাইনে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। তিন ফুট দূরত্বে ক্লাসরুমের বেঞ্চগুলোকে স্থাপন করতে বলা হয়েছে। পাঁচ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের একজন শিক্ষার্থী এবং পাঁচ থেকে সাত ফুট দৈর্ঘ্যের বেঞ্চে দুজন শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাইডলাইন অনুসারে ক্লাস করতে পারবে। স্কুলে ঢোকার আগেই থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করার কথাও বলা হয়েছে।  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বেঞ্চের দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুটের কম হলে প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসতে পারবে। বেঞ্চের দৈর্ঘ্য পাঁচ থেকে সাত ফুট হলে প্রতি বেঞ্চে দুজন করে শিক্ষার্থী বসতে পারবে। যদি বেঞ্চের দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুট বা তার বেশি হয়, তবে প্রতিটি বেঞ্চে দুজন করে ছয়টি বেঞ্চে ১২ জন শিক্ষার্থী বসতে পারবে। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার জন্য কয়েকটি ধাপের কথা বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এই নির্দেশিকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার জন্য যে ধাপগুলো বিবেচনা করা হয়েছে, তা হলো, নিরাপদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিরাপদে চালু করা এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালে করোনার বিস্তাররোধে পদক্ষেপ নেওয়া।

‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ’ শীর্ষক নির্দেশিকায় স্কুল-কলেজ খোলার আগে পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আকর্ষণীয় করাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিফটিং করে নিরাপদ দূরত্বে ক্লাসে বসা, প্রথম ১৫ দিন সহ-শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি এবং দুই মাসের মধ্যে কোনো পরীক্ষা না নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়। ৩৯ পৃষ্ঠার নির্দেশনাটি ইউনিসেফের সহযোগিতায় প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিকে নতুন স্বাভাবিকতা হিসেবে বিবেচনা করে এই নির্দেশিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় সবার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, শিক্ষার্থীরা যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলাফেরা করতে পারে এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থারও পরিকল্পনা নিতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কতজনকে একই শিফটে এনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে তা পরিকল্পনা করা হবে। সে ক্ষেত্রে বসাতে হবে ৩ ফুট দূরত্ব নিশ্চিত করে। শিক্ষার্থীর চাহিদা ও অভিভাবকের মতামতের ভিত্তিতে এবং প্রতিষ্ঠানের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। 

দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে তা থেকে মুক্ত করার জন্য নিরাপদ ও আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথম ১৫ দিন শিক্ষা কার্যক্রম কেমন হবে, কতটা সময় শিখন কার্যক্রম এবং কতটা সময় মনোসামাজিক কার্যক্রমের ব্যবস্থা থাকবে তার পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। প্রথম এক বা দুই সপ্তাহ পাঠক্রমভিত্তিক শিখনের ওপর গুরুত্ব না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মনোসামাজিক সহায়তা এবং মানসিক ও শারীরিক কার্যক্রমের মধ্যে খেলাধুলা, মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, গাছ লাগানো ও পরিচর্যা, সংগীত চর্চা, ছবি আঁকা, সামাজিক সেবামূলক কাজ করতে নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর প্রথম দুই মাসের মধ্যে এমন কোনো আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা বা মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা যাবে না, যা শিক্ষার্থীর ওপর চাপ তৈরি করতে পারে।

পরিকল্পনামাফিক প্রয়োজনীয় জীবাণুনাশক প্রয়োগসহ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের দায়িত্ব বণ্টন, নির্দিষ্ট সময় পর পর ২০ সেকেন্ড ধরে সঠিকভাবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা এবং দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে এ সংক্রান্ত পোস্টার।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কন্টাক্ট লেস থার্মোমিটার স্থাপন এবং তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বাড়িতে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের পথে ও অভিভাবকদের বসার স্থানে ৩ ফুট দূরত্বে করতে হবে মার্কিং। সবার জন্য মাস্কের ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে কোনো শিক্ষার্থী মাস্কের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত না থাকেন। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে হটলাইন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে টাঙিয়ে রাখতে হবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার গাইড লাইনটি তুলে ধরা হলো। 

গাইডলাইন দেখতে ক্লিক করুন :

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

Bootstrap Image Preview