কোন শিক্ষার্থীই নকল করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। তিনি বলেছেন, অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্তের অনেকে সমালোচনা করেছে। তবে এক্ষেত্রে আমরা সফল। কোনো শিক্ষার্থীই নকল করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিচ্ছে না।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে ‘কোভিড পরিস্থিতি : শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারলেও কোনো সমস্যা হবে না দাবি করে তিনি আরও বলেন, অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গ্রেড নির্ধারণ করা যাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা কোনো ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হবে না।
মহাপরিচালক আরও বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার গুণগত পরির্তনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। সে লক্ষ্যে সরকার শিক্ষার বিকেন্দ্রীকরণে কাজ করছে। একটি দেশের শিক্ষার মান নির্ভর করে শিক্ষকদের অবস্থার ওপর। যদিও শিক্ষকদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আক্ষেপ রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের শিক্ষকদের বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী। মাসের শুরুতে শিক্ষকদের বেতনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিক্ষকদের সময়মত প্রমোশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা বোর্ডের সচিব আব্দুল আলীম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিল্পব গাঙ্গুলী, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।