স্টেট ইউনিভার্সিটি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রারের সই করা একটি ইমেইল বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ও স্টাফকে সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে নিয়মিতভাবে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, যারা বাড়িতে বসে অনলাইনে অফিস করবেন তাদের বেতন কাটা হবে। তবে যারা সশরীরে কর্মস্থলে হাজির হয়ে অফিস করবেন, তাদের পুরো বেতন দেওয়া হবে।
বার্তাটি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের হাতে আসে। বার্তা পেয়ে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্রকে স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পাঠায়। ওসি একটি টিমসহ কলাবাগানে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্রাঞ্চ পরিদর্শন করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাস ধানমন্ডি থানার অধীনে। সেখান থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্যাম্পাসকে বার্তাটি দেওয়া হয়েছে। এরপর ধানমন্ডি থানার ওসি মো. ইকরাম আলী মিয়াকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
পুলিশ সদরদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, ধানমন্ডি থানার ওসি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন এবং তাদের অফিস থেকে পাঠানো ইমেইল বার্তার বিষয়ে জানতে চান। পুলিশের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করে এবং ইমেইল বার্তা পাঠানোয় তাৎক্ষণিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে। পাশাপাশি নতুন একটি ইমেইল বার্তায় পূর্বের আদেশ বাতিল করে স্টাফ, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম চলমান রাখতে অনুরোধ করে।