Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফার্মেসিতে মিলছে না নাপা-প্যারাসিটামলজাতীয় কোন ওষুধ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২১, ১০:৪৭ PM
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২১, ১০:৪৮ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


নামীদামি থেকে শুরু করে অলিগলির ফার্মেসিতেও প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বরিশালের ক্রেতারা। ফার্মেসি মালিকরাও সংকটের কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, নাপা থেকে শুরু করে প্যারাসিটামলজাতীয় যত ওষুধ আছে, কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে চাওয়া হচ্ছে, কিন্তু তারা দিতে পারছে না।

শনি ও রোববার বরিশাল নগরীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে। অধিকাংশ দোকানেই প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ মেলেনি। থাকলেও পরিমাণে ছিল কম। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পাশাপাশি মৌসুমি আবহাওয়ার কারণেও এখন জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। এর মধ্যে প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধের সংকটে চিন্তায় পড়েছেন অনেকে।

জর্ডন রোড এলাকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রীর দুই দিন ধরে জ্বর। ওষুধ কিনতে সদর রোডের (বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক) সব ফার্মেসিতে গিয়েছি। কিন্তু নাপা তো দূরের কথা, কোনো প্যারাসিটামলই পাইনি। পরে পুলিশ লাইন এলাকায় একটি ফার্মেসিতে তিনটি নাপা এক্সটেন্ড পেয়েছি।’

একাধিক ফার্মেসিতে খুঁজেও প্যারাসিটামল না পেয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে নগরীর বাংলাবাজার এলাকার মা মেডিক্যাল হলের স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরেই আমাদের কাছে নাপা এক্সটেন্ড, নাপা র‌্যাপিড, নাপা এক্সট্রা ওষুধ ছিল না। এইস প্লাসসহ কিছু ওষুধ ছিল, তাও গত পরশু শেষ হয়ে গেছে।

‘কোম্পানির লোকজনকে ফোন দিচ্ছি, তারা জানিয়েছে প্রোডাকশন কম হচ্ছে। অনেকে ভাবছে, সম্ভবত আমরা মজুত করে রাখছি। আসলে বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা।’

বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়কের হাবিব মেডিক্যাল হলের মালিক অরুণ বলেন, ‘নাপা এক্সটেন্ড বা র‌্যাপিড কোনোটাই নেই। প্যারাসিটামলের মধ্যে শুধু এক বক্স প্লেইন নাপা রয়েছে। তার মধ্যেও দুই পাতা নেই।’

নতুন বাজারের আয়ান ড্রাগ হাউসের মাইনুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘ক্রেতারা চাচ্ছেন কিন্তু দিতে পারছি না। বর্তমানে জ্বরের প্রকোপ বাড়ায় প্যারাসিটামলের চাহিদা বাড়ছে প্রচুর। নাপা তো পরের কথা, অন্য প্যারাসিটামলগুলোও পাচ্ছি না।’

বরিশাল বিভাগীয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক অদিতি স্বর্ণা অবশ্য দাবি করেন, বাজারে জ্বরের ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে কি না, তা দেখতে নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে পর্যাপ্ত প্যারাসিটামল সরবরাহ আছে। একটি কোম্পানির ওষুধ সরবরাহ শেষ হতে পারে কিন্তু সরকারের তো যথেষ্ট সরবরাহ আছে।’

Bootstrap Image Preview