Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এক নজরে হেফাজতের নতুন কমিটির সকল সদস্যের নাম- পরিচয়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২১, ১২:২০ PM
আপডেট: ০৭ জুন ২০২১, ১২:২০ PM

bdmorning Image Preview


হেফাজতে ইসলামের ৩৩ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আমির হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন জুনায়েদ বাবুনগরীকে। মহাসচিব হয়েছেন নুরুল ইসলাম জিহাদী।

রাজধানীর খিলগাঁও চৌরাস্তা মাদ্রাসায় বেলা সোয়া ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলেন এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এ কমিটিতে জায়গা হয়নি সংগঠনটির আলোচিত নেতা মামুনুল হকের। হেফাজতের আগের কমিটিতে তিনি যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।

কমিটিতে সহকারী মহাসচিব করা হয়েছে সংগঠনটির সাবেক আমির আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানিকে।

নতুন কমিটিতে স্থান পাননি হেফাজতের আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদীও। তিনি সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

গত ২৫ এপ্রিল গ্রেপ্তার অভিযানের মুখে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেয় কওমিভিত্তিক সংগঠনটি।

বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীকেই এই কমিটির প্রধান করা হয়। আগের কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জেহাদীকে আহ্বায়ক কমিটির মহাসচিব আর সিনিয়র নামেবে আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে করা হয় প্রধান উপদেষ্টা। সদস্য করা হয়েছে আল্লামা সালাহউদ্দীন নানুপুরী ও মিজানুর রহমানকে (পীরসাহেব দেওনা)।

হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি এমন এক সময় ঘোষণা করা হয়েছে, যখন আগে বাবুনগরীপন্থি হিসেবে পরিচিত সংগঠনটির সাবেক নায়েবে আমির ও মধুপুরের পীর আবুদল হামিদ পক্ষ ত্যাগ করে শফীপন্থিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

গত ২ জুন শফীপন্থিদের এক সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বাবুনগরীকে গ্রেপ্তার ও আহ্বায়ক কমিটিকে অবৈধ ঘোষণার দাবির প্রতি একাত্মতা জানান।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজতের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীসহ শফী অনুসারী কাউকে রাখা হয়নি। 

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনকে কেন্দ্র করে গত মার্চের ২৫, ২৬ ও ২৭ তারিখ দেশজুড়ে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, অন্তত ১৭ জন মানুষের প্রাণহানি হয়। এসব নাশকতার পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত এক ডজন হেফাজত নেতা গ্রেফতার রয়েছেন।

এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ জনতার হাতে ধরা পড়েন। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত। 

সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গোয়েন্দা সংস্থা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। 

Bootstrap Image Preview