যেসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মতো অন্যান্য সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে সেসব জেলাকে আইসোলেটেড করে রাখা হবে। প্রয়োজনে আলাদা করে লকডাউনও দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় চীনের দেওয়া উপহারের টিকার মাধ্যমে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই পাঁচ লাখ টিকা দিয়ে আমরা আড়াই লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে পারব। যাদের টিকা দানের আওতায় আনা হবে তার বেশির ভাগই হবে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও সম্মুখ সারিতে কাজ করা চিকিৎসা কর্মী।
এদিন সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন ঢাকা মেডিকেলের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্য সালাম সমতা। দ্বিতীয় টিকা গ্রহণ করেন শাহিন আহমেদ এবং নিয়ামুল হক। বাকি দুজনই একই প্রতিষ্ঠান ও বর্ষের শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সব মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের এই ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে চারটি হাসপাতালে এই টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ঢাকায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সন্দেহে একজনের মৃত্যুঃ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বারডেম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ৩ দিন আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে বারডেম হাসপাতালের একটি কেবিনে ৫৫ বছর বয়সী ওই রোগীর চিকিৎসা চলছে। রোগীর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। প্রায় এক মাস আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি যান। কিন্তু আবার জ্বর দেখা দিলে তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বারডেমে নেওয়া হয়।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছত্রাক–জাতীয় এক রোগ, যা প্রধানত কভিড রোগীদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। মাত্রা ছাড়া স্টেরয়েড নিলে, বেশি দিন হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকলে অথবা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এই ছত্রাকের শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শাকসবজি, মাটি, ফল, একই মাস্ক প্রতিদিন পরা থেকে এই রোগ ছড়ায় বলে সতর্ক করা হয়েছে।
উপসর্গ হলো জ্বর, মাথাব্যথা, নাক ও চোখ লাল হয়ে যাওয়া, দৃষ্টি কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, রক্তবমি ইত্যাদি।
ভারতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০০ জনের দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ২১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের তামিলনাড়ু, গুজরাট, উড়িষ্যা, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা—এই পাঁচ রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।