ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সময়মতো না পেলে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার (২৮ মার্চ) জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সম্প্রসারিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
টিকা পাওয়ার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই মাসে টিকার যে চালান আসার কথা ছিল সেই টিকা আমরা পাইনি। সেটা যথাযথ পাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যে সংখ্যায় টিকা পাওয়ার কথা তা যদি আমরা পেয়ে যাই তাহলে আমাদের যে কার্যক্রম চলছে তা ব্যাহত হবে না। আর যদি টিকা না পাই তাহলে স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে চিন্তা করতে হবে।
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি সরকার করলেও সম্প্রতি খবর আসে যে দেশের নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ভারত টিকা রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৫০ লাখ করে তিন কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
প্রথম চালানে ৫০ লাখ টিকা এলেও দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে। ফলে ঘাটতি থাকছে।
এই ৫২ লাখের সবাই টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে, যা এপ্রিলের শুরুতে দেওয়া শুরু হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে খুব শীঘ্রই টিকা পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে মন্ত্রী সোমবার জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে সেখান থেকেও খুব শিগগিরই টিকা পাওয়া যাচ্ছে না।
জাহিদ মালেক বলেন, সরকার অন্যান্য টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখান থেকেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে সেখান থেকেই সরকার টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করবে।