করোনা মহামারির কারনে সুইডেন দেশটির নাগরিকদের দেশের বাইরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ এপ্রিলের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। তবে বাংলাদেশ থেকে সুইডেনে ফ্যামিলি ভিসা ও শিক্ষার্থীদের প্রবেশে কোনো বাধা নেই।
সুইডেনের আয়তন ৪,৫০,২৯৫ বর্গকিলোমিটার। এটি ইউরোপের তৃতীয় সর্ববৃহৎ দেশ। মাত্র ৯৫ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে ইউরোপের অন্যতম কম জনসংখ্যার দেশটিতে প্রতিবর্গ কিলোমিটারে মাত্র ২১ জন মানুষ বসবাস করে। দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ শহরকেন্দ্রিক এবং দেশের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত শহরে বসবাস করে। সুইডেনের সর্ববৃহৎ শহর এবং রাজধানী হলো স্টকহোম।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। আর তাই উন্নত জীবন আর ভালো উপার্জনের আশায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি পাড়ি দিচ্ছেন উত্তর ইউরোপের দেশ সুইডেনে।
চাকরির পাশাপাশি প্রবাসীরা নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জানা গেছে, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ সুইডেন। ইউরোপের অন্যান্য দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া ছাড়াও স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি নিয়ে যে কেউ বসবাস করতে পারেন দেশটিতে।
তবে বসবাসের অনুমতির জন্য দরকার চাকরি বা নিজের ব্যবসা। অন্যান্য দেশ থেকে আসা প্রবাসীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি অনেকেই খুলেছেন নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানও হয়েছে অনেক বাংলাদেশির।
এ বিষয়ে এক বাংলাদেশি বলেন, নতুন যারা এখানে আসবে, তারা খুব সহজেই কাজ করতে পারবেন। এখানের অফিসগুলো তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে। ব্যবসা করতে চাইলে লাইন্সেস ও অনুমতি খুব সহজেই নেয়া যাবে।
প্রতি বছর উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী পাড়ি জমান সুইডেনে। দেশটিতে প্রতি বছর বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়তে আসেন। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গৌরবের সঙ্গেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করলেও, অনেকেই শুধু ইউরোপ প্রবেশের রাস্তা হিসেবে বেছে নেন সুইডেনকে। যার ফলে সত্যিকারে পড়াশোনা করতে আসা শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।
সুইডেনে পড়তে আসা এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বলেন, সুইডেনে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যারা পড়তে আসেন তাদের কমপক্ষে তাদের দেশের মানসম্মান বজায় রাখার জন্য যেটুকু পড়াশোনা করা দরকার সেটুকু করা উচিত। কিছু কিছু স্টুডেন্ট আছে এখানে পড়তে এসে ইতালি, পর্তুগাল পালিয়ে যান। এর ফলে পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে যেসব স্টুডেন্টরা পড়তে আসে তাদের জন্য ক্ষতিকর এবং তাদের ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরাও মার্ক করে রাখেন এবং পরবর্তীতে ভিসা দেওয়ার সময় তারা অনেক অসুবিধায় পড়ে।
বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী সুইডেনে পড়তে আসেন, তাদের উদ্দেশ্য যেন উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা হয়। এমনটিই প্রত্যাশা সুইডেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিসহ, এখানে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের।