চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীনকে টাকা আত্মসাৎ মামলায় দু’বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৈদেশিক ও কর্মস্থান আইনে টাকা আত্মসাৎ মামলায় তার অনুপস্থিতিতে গত ২৪ জানুয়ারি জেল ও অর্থদন্ড প্রদান করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান।
মামলা রায়ের পর মঈন উদ্দীন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন আদালত। জীবননগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের
নির্বাচিত চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন গয়েশপুর গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার দামুড়হুদা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের সালাউদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে ভালো বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেয় মঈন। ইতালিতে পাঠানোর নাম করে দু দফায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় যবদল নেতা ও চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন। পরে আলমগীরকে ইতালি না পাঠিয়ে বিভিন্নভাবে টালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে আলমগীর নানাভাবে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য অনুরোধ করেও টাকা ফেরত পায়নি।
ফলে ২০১৯ সালের ৩০ মে বৈদেশিক কর্মস্থান ও অভিবাসী আইনে মঈন উদ্দীনকে একমাত্র আসামী করে দামুড়হুদা মডেল থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করে প্রতারিত আলমগীরের ভাই মিজানুর রহমান।
থানা থেকে চার্জশিট প্রেরণের পর আদালত ৩ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে গত ২৪ জানুয়ারি মঈন উদ্দীনের অনুপস্থিতিতে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।
আদালতের রায় ঘোষণার দু’দিন পর মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সাজাপ্রাপ্ত মঈন উদ্দীন আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। বিকাল ৫টার দিকে তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা কারাগারে নেয়া হয় ।