Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেবের 'কমান্ডো' কালেমার বিরুদ্ধে : মামুনুল হক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:২৩ PM
আপডেট: ০৩ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:৫৯ PM

bdmorning Image Preview


গত ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা দেবের ইউটিউব চ্যানেল  ‘দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেনচার্স’- এ অবমুক্ত হয় ‘কমান্ডো’ সিনেমার টিজার । দেলোয়ার হোসেন দিলের চিত্রনাট্যে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় পরিচালক শামীম আহমেদ রনি। এর প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া।

'কমান্ডো' ছবির টিজার প্রকাশের পরপরই আপত্তি জানিয়ে  ভার্সনে বিভিন্নজনের মন্তব্য নিয়ে সংবাদ হয়। এরপর শুরু হয় তুমুল প্রতিক্রিয়া। সরিয়ে নেওয়া হয় টিজার।  অনেক মাওলানা ও সাধারণ জনগণের মধ্যেও এই ছবিতে ইসলাম অবমাননার আশঙ্কা করা হয়েছে। সম্প্রতি ফেস দ্য পিপল উইথ সাইফুর সাগর টকশোতে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে।

এতে আপত্তির বিষয়ে মামুনুল হক বলেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা আপত্তির জায়গাগুলোর সবটা রাজনৈতিকভাবে উত্থাপন করি না। ধর্মীয় দায়িত্বের ৮০/৯০ ভাগ আমরা নসিহতের মাধ্যমে, মানুষকে উপদেশের মাধ্যমে পালন করে থাকি। চলচ্চিত্রসহ যাবতীয় বিষয়গুলো সে জায়গাটাতে পড়ে। দেব অভিনীত ছবির টিজার ততটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। যে ট্রেলারটা প্রচারিত হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে কালেমা খচিত পতাকা, সেই পতাকাটাকে সন্ত্রাসবাদের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ ইসলামী লেবাস পরিহিত, সুন্নত সংবলিত যে লেবাস-পোশাক, যে অবয়ব, বেশভূষা- সেটাকে সংবলিত করে কিছু জঙ্গিবাদী চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আর সেই চিত্রের বিরুদ্ধে কলকাতার একজন অভিনেতাকে অ্যাকশন নিয়ে, কালেমার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে সেটাকে ধ্বংস করার একটা পাঁয়তারা- এমন একটা ভূমিকা আমরা লক্ষ করছি।

মামুনুল হক আরো বলেন, এখানে যে বিষয়টি আপত্তির জায়গা সেটা হলো যে এটা কিভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ'- যেটা মুসলমানদের চেতনার বিষয়, মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয় এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদের সবচেয়ে আবেগের বিষয়, সবচেয়ে বড় সংবেদনশীলতার যে জায়গাটা, সেটাকে কেউ যদি জঙ্গিবাদী প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়? 

এর চেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক আর কী হতে পারে! আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে এই বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক শুধু নয়, বরং চরমভাবে সাম্প্রদায়িক এবং উসকানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি। আমরা মনে করছি এর মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইসলামী চেতনা, ঈমান, আত্মমর্যাদায় আক্রমণ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview