ভারতের শীতার্ত মানুষদের কম্বল দিতে চান জাফরুল্লাহ

ভারতে তীব্র শৈত্য প্রবাহে ৩৭ কৃষক মারা গেছেন। ভারত সরকার অনুমোদন দিলে তাদের কৃষকদের জন্য দুই হাজার কম্বল পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে সোমবার দুপুরে উত্তরবঙ্গের শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ ইচ্ছার কথা জানান।

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘ভারতে শৈত্যপ্রবাহে ৩৭ কৃষক মারা গেছেন। ভারত সরকার আমাদের অনুমোদন দিলে তাদের কৃষকদের জন্য আমরা দুই হাজার কম্বল পাঠাতাম। মোদি সরকার দেশের জনগণকে অবহেলা করছে।’

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘দেশে শীতের প্রবাহ বাড়ছে। তাপমাত্রা কোনো কোনো স্থানে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের আহ্বান তারা যেন অসহায় শীতার্ত জনগণকে সহযোগিতা করেন।

‘আমাদের এ কম্বলগুলো বড় করে তৈরি করা হয়েছে। একটা কম্বলে পরিবারের কয়েক জন থাকতে পারবেন। এসব কম্বল তৈরি করেছেন গরিব মানুষরাই। গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং দু্ই-এক জন ব্যবসায়ী এসব কম্বলের জন্য আমাদের সহযোগিতা করেছেন। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাঁওতাল পল্লিসহ উত্তরবঙ্গে আমরা বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি।’

তিন বলেন, ‘আজ আমরা বিশেষ ধরনের সহযোগিতা করছি মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন এবং খাদেমদের। তারা ওয়াজ মাহফিল করে সবার কথা বলেন, কিন্তু নিজেদের জন্য লজ্জায় চাইতে পারেন না। রূপনগর ও আশুলিয়া বেড়িবাঁধ অঞ্চলের ইমাম, মোয়াজ্জিন এবং খাদেমদের পরিবারের জন্য আমরা একটি করে কম্বল দিচ্ছি।’

ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘অকারণে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করবেন না। দরিদ্র মানুষের মুক্তি ও সাহায্যের জন্য খোদার কাছে দোয়া করেন। শীতে যেন মানুষ না মারা যায়, সে জন্য আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব। পাশাপাশি আমরা সবার সহযোগিতাও চাই।’

অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদির আহমেদ বলেন, ‘আপনারা জানেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সবসময় দেশের যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। করোনার সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা ও চিকিৎসা সেবা দেয়, যা এখনও জারি আছে।’

তিনি বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অসহায় মানুষের জন্য শীতবস্ত্র সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে চার হাজার কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যার মধ্যে দুই হাজার কম্বল এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বাকিগুলো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক (কার্যক্রম) গোলাম মোস্তফা দুলাল, এইচআরসি পরিচালক আকলিমা আক্তারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।