দেশে করোনাকালে নিম্ন আয়ের এবং হতদরিদ্র মানুষের জন্য সরকার যে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে তা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা পূরণে অপর্যাপ্ত ছিল বলে খাদ্য অধিকার সংক্রান্ত এশিয়ার মনিটরিং রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর তারা খাদ্য অধিকার সংক্রান্ত এশিয়ার মনিটরিং রিপোর্ট প্রকাশ করে।
সেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে অপর্যাপ্ত অর্থ সহায়তার তালিকায় আছে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। জিএনআরটিএফএন তাদের রিপোর্টে বলে, ‘বাংলাদেশ সরকার এই বছরের মে মাসের শেষের দিকে বিভিন্ন সেক্টরের জন্য ১১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ইউএস ডলারের সমপরিমাণ অর্থের প্রণোদনা ঘোষণা করে। যার মধ্যে ৩ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবাখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৪ শতাংশ সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে। বাজারে নিত্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত রাখতেও সরকার নানা পদক্ষেপ নেয়। ’
জিএনআরটিএফএন-এশিয়া রিপোর্টে বাংলাদেশের পরিস্থিতি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১টি নির্দেশনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে কৃষক, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ভিক্ষুক, পথশিশু, বিধবা এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ত্রাণ সহায়তা। এর মধ্যে ১৫ এবং ১৬তম নির্দেশনা সরাসরি কৃষি খাতের জন্য। যারা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে সংসার পরিচালনা করে তাদের জন্য সরকার ৫০ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকার নগদ অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। ’রিপোর্টে সংস্থাটি কিছু সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে আছে- অপুষ্টি ও খাদ্য সঙ্কটে থাকা পরিবারদের দ্রুত সহায়তা প্রদান, করোনার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যারা কাজ হারিয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়ের খাদ্য ও পুষ্টির অধিকারের ওপর কোভিড -১৯ এর মানবাধিকার প্রভাবের মূল্যায়ন পরিচালনা করা এবং শিশু, নারী ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি প্রদান।