অ্যামবারগ্রিজ বা তিমির বমি সমুদ্র সোনা বলে পরিচিত। এটি পারফিউমে ব্যবহার করা হলে সুগন্ধ অনেক্ষণ থাকে। নারিস সুওয়ানাসাং নামের সেই জেলে বমিটিকে শুরুতে পাথরের টুকরো ভেবেছিলেন। এটির ওজন প্রায় ১০০ কেজি। তবে সৌভাগ্যবসত তিনি এটিকে এড়িয়ে যাননি।
বিরল এই দ্রব্য দামি পারফিউম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পৃথিবীর নানান সৈকতে প্রায়শই ভাসতে ভাসতে বমি চলে আসে। তবে এর আগে কখনই এতো বড় বমির টুকরো পাওয়া যায়নি। তিমির বমি বাতাসের সংস্পর্শে এলে জমাট বেঁধে যায়। এ কারণে এটিকে কঠিন অবস্থায়ই পাওয়া যায়। দ্য সান।।
ওই জেলের মাসিক আয় ৫০০ পাউন্ড এর আশেপাশে । তিনি কখনই ভাবতে পারেননি যে তার ভাগ্যে কোনোদিন এতো অর্থ জুটবে। তিনি জানিয়েছেন, এক ব্যবসায়ী তাকে ওই তিমির বমির জন্য ২৪ লাখ পাউন্ড দেয়ার কথা জানিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০০ কেজি বমির দাম আসলে অনেক বেশি।
বমি তিমির দেহ থেকে নির্গত বর্জ্য যা তিমির পেট থেকে বেরিয়ে আসে। কখনও এটি প্রাণীটির মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসে, আবার কখনও পদার্থটি বড় হয়ে গেলে তিমি মুখ দিয়ে তা বাইরে বের করে দেয়। সাধারণত, তিমি সৈকত থেকে অনেক দূরে থাকে, তাই তাদের দেহ থেকে এই উপাদানটি সমুদ্র সৈকতে পৌঁছাতে অনেক বছর সময় লাগে।