Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্রাজিলে ১২ বছরে আমাজনের সর্বোচ্চ বন উজাড়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:৩৪ PM
আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:৪০ PM

bdmorning Image Preview


২০১৮ সাল থেকে ব্রাজিল অংশে আমাজনের বিশাল বনভূমি সবচেয়ে ধ্বংস হয়েছে। তবে গত এক বছরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ। ব্রাজিলের মহাকাশ সংস্থা (ইনপে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমাজন রেইনফরেস্টের ১১ হাজার ৮৮ বর্গকিলোমিটার ধ্বংস হয়ে গেছে। আগের বছরের তুলনায় এই হার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বছরের পর বছর ধরে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করছে আমাজন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেইর বোলসোনারো ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই আমাজন বন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই রেইনফরেস্টে কৃষি ও খনিসংক্রান্ত কাজে উৎসাহিত করছেন বোলসোনারো।কিন্তু গত কয়েক বছরে ব্রাজিল সরকারের অবহেলা বিশাল এই বনভূমিকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ অক্সিজেনের যোগানদাতা আমাজন। বিশাল এই বনভূমিতে প্রায় ৩০ লাখ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বসবাস। এছাড়া আরও ১০ লাখ আদিবাসীও সেখানে বসবাস করে।

২০১৮ সালে ব্রাজিলের মহাকাশ সংস্থার (ইনপে) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোলসোনারো সে সময় ক্ষমতা গ্রহণের আগে আমাজনে বন উজাড়ের পরিমান ছিল ৭ হাজার ৫৩৬ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে যেন ধ্বংসলীলা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। সে সময় নির্বাচনের আগে তিনি বনাঞ্চলের ক্ষতির জন্য জরিমানা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে পরিবেশবাদী সংস্থাগুলোর ক্ষমতাও সীমিত করেছিলেন।

যদিও এই পরিসংখ্যানের তথ্য প্রাথমিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামী বছরের শুরুর দিকেই আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। গত বছর ইনপের সমালোচনা করেছিলেন বোলসোনারো। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, বন উজাড়ের তথ্য উপস্থাপন করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে।এক বিবৃতিতে ব্রাজিলের বেসরকারি সংস্থা ক্লাইমেট অবজারভেটরি বলছে, কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেছে বন উজাড়ের এই পরিসংখ্যান থেকে। সংস্থাটি বলছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ বন রক্ষায় সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছে না। জলবায়ু বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, এই বনভূমির লাখ লাখ গাছ প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে। এসব গাছ না থাকলে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে।

 

Bootstrap Image Preview