দেশে এখনও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচাতে রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাস যাতে দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিক বিবেচনা করে সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। করোনা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে এয়ারপোর্ট, ল্যান্ডপোর্টে স্কিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেগুলোকে দিন দিন আরও জোরদার করা হচ্ছে।
হজ ক্যাম্পের কারও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ১৪ দিন হলে সবাইকে ছেড়ে দেয়া হবে।
এ সময় ভাইরাসটি মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে ২০ বেডের একটি আইসিইউ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আরও প্রায় ২০০ বেড রাখা হয়েছে একই হাসপাতালে। পুরো কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি আসে তাদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকল হাসপাতালেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ডেডিকেট করা হয়েছে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালকে। আমরা আশা করি এই রোগ আমাদের দেশে আসবে না।
এদিকে করোনাভাইরাসে চীনের মূল ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখা বেড়ে কমপক্ষে ১১০৫ এ দাঁড়িয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, হুবেই প্রদেশে আরও ৯৪ জন মারা গেছে। এ নিয়ে এই অঞ্চলেই মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৮। এছাড়া হংকং এবং ফিলিপাইনে ১ জন করে মারা গেছে। ফলে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১১০৭ জন।
সিএনএন জানিয়েছে, হুবেই প্রদেশে নতুন করে ১ হাজার ৬৩৮ জনের সংক্রমণের ফলে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৬৬। বিশ্বব্যাপী এ সংখ্যা ৪৪ হাজার ১৩৮। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন পরবর্তীতে দেশটির সব প্রদেশের সংখ্যা প্রকাশ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
এদিকে সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (এমওএইচ) জানিয়েছে, দেশটিতে আরও এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে দুই বাংলাদেশি অভিবাসী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। তারা দুজনেই একই জায়গায় কাজ করতে যেতেন।