ফেসবুকে গার্লফ্রেন্ডের ছবি শেয়ারকে কেন্দ্র করে শারীরিকভাবে হেনন্তার শিকার হয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। অচেতন অবস্থায় নোয়াখালী সদর হসপিটালে ভর্তি করা হয় তাকে। ভুক্তভোগী ছাত্র সাব মিয়া সোহেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফলিত গণিত বিভাগ ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান দূর্জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাব মিয়া সোহেলকে ডেকে পাঠায়। সোহেল নীল দিঘি পাড়ে আসলে তার দেয়া স্ট্যাটাসের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী তার দেয়া স্ট্যাটাসের জন্য ক্ষমা চায়। সোহেলের কথায় কর্নপাত না করে দূর্জয় তার দলবল নিয়ে সোহেলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী সাব মিয়া সোহেল দুর্জয়ের ও তার গার্লফ্রেন্ডের একটি অস্পষ্ট ছবি (পেছন থেকে তোলা) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করে। এই ছবিকে কেন্দ্র করে সোহেলের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়ে দূর্জয় ও তার সঙ্গীরা।
এ সময় দূর্জয়ের গার্লফ্রেন্ড মারিয়াম সিদ্দিকা জেনি সোহেলকে কান ধরিয়ে হাঁটায় এবং চরমভাবে লাঞ্ছনা করে। জানা যায়, জেনি সোহেলের ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র শিক্ষার্থী। জুনিয়র কর্তৃক লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে হামলা পরবর্তীতে সোহেল আত্মহত্যা চেষ্টা করলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সহপাঠীরা তাকে নোয়াখালী সদর হসপিটালে নিয়ে যায়।
এই হামলার ঘটনায় সাকিবুল হাসান দূর্জয়ের সাথে সমাজকর্ম ২০১৮-১৯ বর্ষের সোহান ও একই সেশন বাংলা বিভাগের তানভীর মাহতাব সামি সহ ৮/১০ শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা যায়। হামলাকারী সকলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকিব মোশাররফ ধ্রুব ও কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে একটি গ্রুপের অনুসারী।
হামলার বিষয়ে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, এ হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।