মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে এবার ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে জোট গঠন করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যার অংশ হিসেবে দেশ দুটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এরই মধ্যে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন আমিরাতি নেতারা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানায়, গত ১৭ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউজে অতি গোপন সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তেল আবিব ও আবু ধাবি মধ্যকার সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করার উপায় নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেইর বেন-শাবাত এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ বিন ওতাইবা। জানা যায়, আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন জায়েদের সঙ্গে ওতাইবার ভীষণ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
মিডিয়ার চোখ ফাঁকি দিয়ে অনুষ্ঠিত সেই গোপন বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন, তার উপপ্রধান ভিক্টোরিয়া কোটস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ইরান অ্যাকশন গ্রুপের প্রধান ব্রায়ান হুক উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈঠকের মাত্র চারদিন পর গত ২১ ডিসেম্বর আমিরাতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ এক টুইটার বার্তায় ‘ইসলামের সংস্কারমূলক’ নিজেদের কিছু পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে একটি ইসরায়েল-আরব জোট গঠন করা হয়েছে।
যদিও এর পরদিনই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ফিরতি টুইট পোস্টে বিষয়টি নিয়ে আরও কিছুদিন নীরবতা অবলম্বনের জন্য আবু ধাবির প্রতি আহ্বান জানান।