একের পর এক ম্যাচ যায়, আর শেষ মুহূর্তে এসে হেরে যায় নিউজিল্যান্ড। হয় একেবারে মুখোমুখি অবস্থানে এসে, নয়তো সুপার ওভারে গিয়ে। সেই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে যে কুফার মুখোমুখি হয়েছিল কিউইরা, তার রেশ এখনও চলছে। সর্বশেষ নিজেদের মাঠেই ভারতের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে কিউইরা হোয়াইটওয়াশ হলো ৫-০ ব্যবধানে।
এর মধ্যে আবার দুটি ম্যাচ ছিল সুপার ওভারে গড়ানো। নিশ্চিত জয়ের ম্যাচকে তারা নিয়ে গেলো সুপার ওভারে এবং সর্বশেষ ম্যাচেও হেরেছে তারা সাত রানে। যে ম্যাচেও তারা ছিল নিশ্চিত জয়ের সামনে।
এমন বোকার মত ক্রিকেট খেলার জন্য পাকিস্তানের সাবেক স্পিড স্টার শোয়েব আখতারের তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হলো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা।
সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ৬ ও ৭ উইকেটে জিতেছিল ভারত। পরের দুই ম্যাচ গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৬৩ রানের পুঁজি নিয়ে জিতে যায় ভারত। কোহালির ভারতই বিশ্বের প্রথম দল যারা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল ৫-০ ফলে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব এই সিরিজ নিয়ে আলোচনায় বলেছেন, ‘বোকার মতো ক্রিকেট খেলছে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের যেভাবে হারতে দেখলাম, তাতে আর অন্য কিছু বলতে ইচ্ছা করছে না। আমার মনে হয়, নিউজিল্যান্ডের উচিত বল-প্রতি রান পরিস্থিতিতে কিভাবে ব্যাট করতে হয় তা শেখা। পাঁচ টি-টোয়েন্টির মধ্যে দুটো ওরা টাই করেছিল। আর শেষ ম্যাচে বল-প্রতি রানও প্রায় ছিল না। অথচ, তার পরও ওরা হেরে গেল।’
রোববার রান তাড়ার সময় চতুর্থ উইকেটে রস টেলর ও টিম সেইফার্ট যোগ করেছিলেন ৯৯ রান। ১৩তম ওভারে সেইফার্টকে নবদীপ সাইনি ফিরিয়ে দিতেই ধস নামে নিউজিল্যান্ড ইনিংসে। পরের সাত ওভারে পাঁচ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
এসব দেখে শোয়েব বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না যে, নিউজিল্যান্ড ঠিক কি করছে? ওরা বারবার এক ওভারে বেশি উইকেট হারিয়ে বসছে। রস টেলরের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারছে না, এটা দেখাও যন্ত্রণার। আমার কাছে পুরোটাই বোকামি লেগেছে। জানি না ওরা কোন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছে। ওদের বুদ্ধিহীন ক্রিকেট দেখাও কষ্টকর। যদি সামান্য পরিণত মানসিকতা দেখাত, তবে নিউজিল্যান্ড ৩-২ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততো। তবে ভারতকে অভিনন্দন। তারা সুযোগ কাজে লাগিয়েছে দারুণ ভাবে।’
একই সঙ্গে ভারতীয় বোলারদেরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন শোয়েব আখতার। তার মতে, দলের এক্স ফ্যাক্টর হলেন জশপ্রিত বুমরাহ। শোয়েবের কথায়, ‘বুমরা, নবদীপ সাইনি ও শার্দুল ঠাকুররা সকলেই দারুণ। তবে এক্স-ফ্যাক্টর বুমরাই। এই ভারতীয় দল দক্ষতার সঙ্গে চাপ সামলাচ্ছে। তবে আবার বলছি, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট আমাকে হতাশ করেছে। ওদের যাবতীয় সমালোচনা প্রাপ্য। একদম বাচ্চাদের মতো খেলেছে ওরা। একেবারে অপেশাদারের মতো দেখিয়েছে ওদের।’