চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস দিনের পর দিন মহামারি আকার ধারণ করছে। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বের ১৭টি দেশে করোনাভাইরাস এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে যাচ্ছে ভাইরাসটি।
করোনাভাইরাসের ব্যাপারে দুটি দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুনিয়া জুড়ে। প্রথমটি হলো, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সন্দেহ করেছে, রহস্যময় ‘নোভেল করোনাভাইরাসের’ চাষ করেছে চীনের গোপন সামরিক গবেষণাগার। দ্বিতীয় দাবি হলো- মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট এই দাবিকেই সমর্থন করেছে।
ইসরায়েলের জীবাণু অস্ত্রের বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন, এই ভাইরাসের জন্মদাতা উহানের জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কারখানা বায়ো-সেফটি লেভেল ৪ ল্যাবরেটরি। শোনা যাচ্ছে, অসাবধানতাবশত এই গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে ভাইরাসের সংক্রমণ। আসলে জৈব রাসায়নিক অস্ত্রের ওপর গবেষণা করতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন চীনের বিজ্ঞানীরা।
ইসরায়েলের সেনা গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে সে দেশের দুটি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ব্যাপক আধুনিকীকরণ, ছাঁটাই প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন করছে চীন। চলছে জীবাণু অস্ত্র ও রাসায়নিক অস্ত্র নিয়েও গবেষণা। এরই অংশ হিসেবে সার্স জাতীয় ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছে চীনের সামরিক বাহিনীর গবেষণাগার।
সার্সের পুরো নাম, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম। জ্বর, হাঁচি, কাশি, শরীরে অসহ্য ব্যথার মতো উপসর্গ থাকে এই রোগে। যার পরিণতি মৃত্যু। সার্সের মতোই আরেকটি নতুন ভাইরাস হলো নোভেল করোনাভাইরাস। এটি আরো মারাত্মক এবং শক্তিশালী।
ওয়াশিংটন পোস্ট এবং মোসাদের দাবি, শত্রুদেশ দখল করতে, বিনা রক্তপাতে শত্রু সেনাদের খতম করতে অনেকদিন ধরেই জীবাণু অস্ত্র নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে চীনের লাল ফৌজ। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশেই এই গবেষণা চলছে। কিন্তু এই গবেষণা যে দুর্ঘটনাবশত বুমেরাং হয়ে যাবে এবং দেশজুড়ে মহামারীর আকার নেবে তা ভাবতে পারেননি গবেষকরা। ভাইরাসের দাপটে চীনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
নানা মহলের দাবি, রহস্যময় ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে উহান প্রদেশের গোপন গবেষণাগার থেকে। কোনো কোনো মহল থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নাশকতা বা অন্তর্ঘাত করেই চীনের কোনো বিজ্ঞানী বা গুপ্তচর এই ভাইরাস ছড়িয়েছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে স্পষ্ট জানিয়েছে, এই আরএনএ ভাইরাসকে চীন তৈরি করেছে মারণাস্ত্র হিসেবেই। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছোবলে হাজার হাজার মানুষকে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলা সম্ভব। উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বিএসএল-৪ ল্যাবরেটরিতে অতি গোপনে এই জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল অনেকদিন ধরেই।