Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শান্তির নামে মার্কিন- ইহুদিবাদি নীল নকশা প্রকাশ, প্যালেস্টাইনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৪:৪৫ PM
আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৪:৫০ PM

bdmorning Image Preview


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। প্যালেস্টাইনের বারবার প্রত্যাখ্যানের পরও এ পরিকল্পনা প্রকাশ করলেন তিনি।  ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন। ট্রাম্প একে 'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' বা 'শতাব্দির সেরা চুক্তি' বলে অভিহিত করেছেন। এদিকে, উত্থাপিত এই পরিকল্পনাকে 'শতাব্দির সেরা বিশ্বাসঘাতকতা' বলে উল্লেখ করেছে ইরান। 

ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,  যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপিয়ে দেয়া এই লজ্জাজনক শান্তি পরিকল্পনা ব্যর্থ হতে বাধ্য।মঙ্গলবার রাতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি  এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ পরিকল্পনা উত্থাপন করে মূলত ফিলিস্তিনি জনগণের পাশাপাশি গোটা মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এ পরিকল্পনা প্রতিহত করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বের স্বাধীনচেতা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান মুসাভি।

ফিলিস্তিনি জনগণকে ইসরায়েলসহ গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের প্রকৃত মালিক বলে উল্লেখ করেন সাইয়্যেদ মুসাভি। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভূমি জবরদখল করে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কাজেই সেখানকার সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় ফিলিস্তিনের প্রকৃত অধিবাসী মুসলমান, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মধ্যে গণভোটের ব্যবস্থা করা যাতে তারা নিজের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে আনা অবৈধ ইহুদি অভিবাসীরা এই গণভোটের বাইরে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ইরানের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিন ও জেরুজালেম আল-কুদসকে মুসলিম বিশ্বের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে ইরানের এই মুখপাত্র। তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে কিছু মুসলিম দেশ ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করার এই পরিকল্পনা মেনে নিয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রবল বিরোধিতা উপেক্ষা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত ইহুদিবাদী পরিকল্পনা ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ উপস্থাপন করেছেন।তিনি মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে তার একপেশে এই আপোষ প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন।

মার্কিন-ইহুদিবাদী এই পরিকল্পনায় ঐতিহাসিক জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদেরকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া, জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের অবশিষ্ট অংশ ও গাজা উপত্যকা নিয়ে একটি দুর্বল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি বিশ্বের বহু মুসলিম দেশ ট্রাম্পের এই একতরফা বা বর্ণবাদী পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে। ফিলিস্তিনের স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আমি হাজার বার বলেছি, এ পরিকল্পনা মানি না, মানি না, মানি না। 

'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' উপস্থাপনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে টেলিফোন করলেও তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

 তিনি বলেছেন, যে পরিকল্পনায় জেরুজালেম আল-কুদসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা না থাকছে সে পরিকল্পনা তিনি মেনে নেবেন না।

Bootstrap Image Preview