টুর্নামেন্টের গ্রুপিং হওয়ার পরই বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে বলেছিলেন, ‘আমরা সেমিফাইনালে উঠলে খেলতে হবে আফ্রিকান দলের বিরুদ্ধে। যা হবে আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ।’ বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠেছে। আফ্রিকান দল বুরুন্ডি এখন বাংলাদেশের সামনে। বুরুন্ডিকে হারিয়ে ফাইনালে ওাঠার চ্যালেঞ্জ এখন বাংলাদেশের।
বুরুন্ডিকে নিয়ে হাসাহাসি করেছেন অনেকে; কিন্তু আফ্রিকার দেশটি দুই ম্যাচে বুঝিয়ে দিয়েছে তারা হাসাহাসির পাত্র নয়। দুই ম্যাচে ৭ গোল দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি ফিফা রাংকিংয়েও বাংলাদেশের চেয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে।
শ্রীলংকাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওাঠার পর কোচ জেমি ডে আবারো মনে করিয়ে দিয়েছেন সেমিফাইনালে আফ্রিকান দেশটি কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে বাংলাদেশের জন্য, ‘বরুন্ডি আক্রমণভাগে অনেক শক্তিশালি। তারা দুই ম্যাচে ৭ গোল করেছে। তাদের বিপক্ষে খেলাটা অনেক চ্যালেঞ্জ হবে। সেমিফাইনালের আগে হাতে তিনদিন সময় আছে আমাদের। এরই মধ্যে আশা করি সবাই ফিট হয়ে যাবে এবং সেমিফাইনলে আমরা ভাল করব।’
জিতলে সবাই খুশি হন। তারওপর এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ম্যাচসেরা মতিনকে নিয়ে হাসিমুখে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ঢুকে সেই তৃপ্তি ও খুশির কথাই বললেন জেমি ডে, ‘শ্রীলংকা ম্যাচটা কঠিন হবে তা জানতাম। ওরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে ৯০ মিনিট পর্যন্ত সমানতালে লড়েছিল। সেই দলটির বিপক্ষে আমরা জিতেছি জামাল, ইয়াসিন খানের মতো ফুটবলারকে ছাড়া খেলে। ৩-০ গোলে জিতেছে দল। তারচেয়ে তৃপ্তির জায়গা হলো, গোল হজম করিনি। সবমিলিয়ে পুরো ম্যাচে ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।’
যেখানে গোলের জন্যই বাংলাদেশ দলতে হাপিত্যেশ করতে হয়, সেখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৩ গোল! সেই নতুন টেকনিকের কথাও বললেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ, ‘আমি নতুন টেকনিক নিয়ে দলকে খেলিয়েছি। সেটা পুরোপুরি কাজে লেগেছে। আক্রমণভাগে মতিন, সুফিল, ইব্রাহিম অসাধারণ খেলেছে। বিশেষ করে মতিন অন্যরকম পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। একই সঙ্গে মধ্যমাঠ এবং ডিফেন্সও ভাল হয়েছে।’
তবে এ ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মণ শেষ দিকে লাল কার্ড পেয়ে সর্বনাশ করেছেন। বুরুন্ডির মতো শক্তিশালি আক্রমণাত্মক দলের বিপক্ষে তপুর মিসটা ভোগাতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন জেমি ডে, ‘তপুর লালকার্ড পাওয়াটা হতাশার। সেমিফাইনালে তার সার্ভিস মিস করবো।’