দুই বছর আগে মেয়েকে শ্লীলতাহানি করেছিল দুর্বৃত্তরা। আর সেই দুর্বৃত্তদের হাতেই মৃত্যু হলো মায়ের। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। জানা গেছে, জামিনে ছাড়া পেয়ে অভিযুক্তরা নির্যাতিতার মাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই নারীর। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই ৬ জনের নাম আবিদ, মিন্টু, মেহবুব, চাঁদবাবু, জামিল ও ফিরোজ। ২০১৮ সালে তাদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, ১৩ বছরের এক কিশোরীর শ্লীলতাহানি করেছে তারা। কিন্তু তাদের কোনও শাস্তি হয়নি। স্থানীয় আদালতে জামিন পেয়ে যায় তারা।
তারপর, গত বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ওই কিশোরীর বাড়িতে চড়াও হয় চার অভিযুক্ত। মেয়েটির পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু পরিবারের লোকেরা তাদের দাবি মানতে চায়নি। তখন নির্যাতিতার মাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে ওই ৬ জন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন আরও এক নারী। তাঁদের কানপুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
এদিকে, নির্যাতিতার মাকে মারধর করার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গেছে লাল কুর্তা পরা এক নারীর ওপর রীতিমতো লাথি চালাচ্ছে কয়েকজন যুবক। মারধর করা হচ্ছে তাঁকে। সাদা কুর্তা পরা এক যুবক ওই নারীর মুখেও আঘাত করে।
ভিডিওটি ছাদ থেকে তোলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অভিযুক্তদের ফের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছে নেটিজেনরাও। ঘটনায় নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মামলা দায়েরও করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।