Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘প্রেমিকার গলা কেটে এসেছি’ টিভি লাইভে এসে বললেন প্রেমিক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ০৪:৪৬ PM
আপডেট: ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ০৪:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


প্রেমিকাকে খুন করে ফেরারি। হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। অনেক খুঁজেও পুলিশ যখন কূল-কিনারা পাচ্ছিলেন না তখন নিজেই একটি টিভি স্টেশনে হাজির হয়ে প্রেমিকাকে খুনের কথা স্বীকার করলেন খুনি। আর ততক্ষণে টিভি স্টেশনটিতে হাজির পুলিশ, গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হলো খুনি মনিন্দর সিংকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, পাঞ্জাবের চণ্ডিগড়ের বাসিন্দা মনিন্দন সিং পেশায় নার্স সরবজিৎ কৌরের সঙ্গে প্রেম করতেন। তারা দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও বর্ণ-বৈষম্যের জেরে মনিন্দরকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় সরবজিৎ এর পরিবার। এরই মাঝে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর খুন হন সরবজিৎ। খুনের পরেই পলাতক ছিলেন মনিন্দর।

পুলিশ সরবজিৎ খুনের মামলা নিয়ে যখন ব্যস্ত, তখন নিজেই হাজির হলেন খুনি। গত মঙ্গলবার হঠাৎ করে একটি টিভি চ্যানেলে হাজির হন মনিন্দর। এরপর তিনি ওই টিভিতে সাক্ষাৎকার দেন।

সাক্ষাৎকারে মনিনন্দর বলেন, ‘ছয় মাস ধরে সরবজিৎ আর আমার পরিবারের মধ্যে বিয়ে নিয়ে কথা হচ্ছিল। কিন্তু ওর পরিবার সমস্যা তৈরি করছিল। কখনও বলত, আমি ওদের জাতির নয়। আবার কখনও বা এই বলে বিয়ে এড়িয়ে যেত যে আমি সরকারি চাকরি করি না।’’

ক্যামেরার সামনে তিনি জানিয়েছেন, গত ৩০ ডিসেম্বর সে এবং সরবজিৎ হোটেল স্কাই-তে ‘চেক ইন’ করে। হোটেলে তাদের বিয়ে নিয়ে কথা শুরু হয়, যা ক্রমে ঝগড়ায় গড়ায়। ঘণ্টাখানেক পর মনিন্দর হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর গত ১ জানুয়ারি হোটেল কক্ষ থেকে উদ্ধার হয় সরবজিতের গলাকাটা দেহ।

নিজের অপরাধের কথা যখন বলছিলেন মনিন্দর তখনই টিভি স্টেশনে এসে হাজির হন পুলিশের একটি দল। তারা এসেই মনিন্দরকে গ্রেপ্তার করে।

এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রেমিকাকে খুন করেছিলেন মনিন্দর সিং। ২০১০ সালে নিজের তৎকালীন প্রেমিকাকে খুন করেছিলেন তিনি। চার বছর কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পরিচয় হয় সরবজিতের সঙ্গে। সেই পরিচয় থেকে প্রেম, অতঃপর খুন করে কারাগারে গেলেন মনিন্দর।

Bootstrap Image Preview