Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফাইনালে নাম লিখিয়েছে খুলনা টাইগার্স

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী ২০২০, ১১:৫৩ AM
আপডেট: ১৪ জানুয়ারী ২০২০, ১১:৫৩ AM

bdmorning Image Preview


এক মোহাম্মদ আমিরই শেষ করে দিলেন রাজশাহী রয়্যালসকে। লিটন দাস, আফিফ হোসেন, আন্দ্রে রাসেল আর শোয়েব মালিকদের নিয়ে গড়া দলের জন্য ১৫৯ রানের লক্ষ্য যে খুব আহামরি ছিল, এমন নয়। কিন্তু শুরুতেই এমন বিধ্বংসী চেহারায় হাজির হলেন আমির, রাজশাহী আর দাঁড়াতেই পারলো না।

শোয়েব মালিক অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন একাই। কিন্তু ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অসাধ্য সাধনের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ৫০ বলে ১০ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৮০ রান করা মালিকের উইকেটটিও শেষ পর্যন্ত নিয়েছেন ওই আমিরই।

পাকিস্তানি পেসারের বিধ্বংসী বোলিং পারফরম্যান্সে ভর করে মিরপুরে বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী রয়্যালসকে ২৭ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স, নাম লিখিয়েছে ফাইনালে। বিপিএলে অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের এটি প্রথম ফাইনাল।

লক্ষ্য ১৫৯ রানের। আমিরের আগুনে বোলিংয়ে ২৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী, এর মধ্যে ৪টি উইকেটই নেন পাকিস্তানি এই পেসার। ইনিংসের প্রথম ওভারে লিটন দাসকে (২) বোল্ড করে শুরু। এরপর একে একে বাঁহাতি এই পেসারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন আফিফ হোসেন (১১), অলক কাপালি (০) এবং মারকুটে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ও রাজশাহী দলপতি আন্দ্রে রাসেলও (০)।

মাঝে রবি বোপারার (১) উইকেটটি তুলে নেন রবি ফ্রাইলিংক। ফরহাদ রেজাকে (৩) নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানিয়ে রাজশাহীর ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান শহীদুল ইসলাম। স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৩৩ রান।

সেই মহাবিপর্যয় থেকে দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন শোয়েব মালিক। দারুণ ব্যাটিংয়ে রাজশাহী সমর্থকদের আশার আলোও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ১৮তম ওভারে এসে শোয়েবের উইকেটটিও তুলে নেন আমির, সবমিলিয়ে ১৭ রান খরচায় নেন ৬টি উইকেট।

এর আগে দারুণ ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর হার না মানা হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেটে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় খুলনা টাইগার্স।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই রাজশাহী বোলারদের তোপে পড়ে খুলনা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই মোহাম্মদ ইরফানের জোড়া শিকার হন মেহেদী হাসান মিরাজ (৮ বলে ৮) আর রাইলি রুশো (০)। ১৫ রানে ২ উইকেট হারায় খুলনা।

তৃতীয় উইকেটে শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে সেই বিপদ কাটিয়ে উঠেন নাজমুল হোসেন শান্ত, গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ৩১ বলে ৩২ রান করে রবি বোপারার শিকার হয়ে শুভ ফিরলে ভাঙে এই জুটিটি।

তবে একটা প্রান্ত ধরে লড়াই চালিয়েই যাচ্ছিলেন শান্ত। এর মধ্যে ইনিংসের ১৮.২ ওভারে ইরফানের বলে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে ১৬ বলে ২১ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। খুলনার সংগ্রহটা তাই সেভাবে বাড়েনি।

শান্ত শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৭ বলে ৭৮ রানে। লড়াকু এ ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৫ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান।

Bootstrap Image Preview