গতকাল বিসিবি সভাপতির কাছে ফোন করে নিজের নাম কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছেন টাইগার দলের ওয়ানডে ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বোর্ডের সাথে চুক্তি না থাকলেও তিনি এখনও ওয়ানডে দলের ক্যাপ্টেন।আর সেটা অবসরের আগ পর্যন্ত থাকতে চান। খেলা চালিয়ে যেতে চান।জাতীয় দল বা ঘরোয়া লিগে।
কিন্তু বোর্ড যদি চায় ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বে থেকে মাশরাফি সরে যাক। সেক্ষেত্রে ম্যাশ কি বলবেন?চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে হারের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মাশরাফি সেখানে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বোর্ড যদি চায় আমি এখনই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিব।এতে আমার কোন সমস্যা নেই।'
এদিকে মাশরাফির অবসর নিয়ে বিসিবি সভাপতি গতকাল জানিয়ে ছিলেন, `আপনারা তো জানেন ওকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। বিশ্বকাপের পর জিম্বাবুয়ের সঙ্গে একটা ওয়ানডে খেলে শেষ করার কথা ছিলো ওর। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে কথাও বলেছিলাম আমরা। তখনই লন্ডনে ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছিলো। পরে তো সে রাজি হয়নি। বলেছিল এই বিপিএল পর্যন্ত দেখতে চায়। এরপর সিদ্ধান্ত নেবে।'
`এখন যেটা জেনেছি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে যে, ওর ঘটা করে ওর অবসর নেয়ার ইচ্ছাই নেই। মনে হচ্ছে আরকি। পত্র-পত্রিকা দেখে। আমরা তো চাবোই তাকে খুব ভালোভাবে বিদায় জানাতে। যেটা বাংলাদেশে ওর মতো আর কেউ পেয়েছে বা পাবে মনে হয় না। এটা আমাদের ইচ্ছা। ও যদি চায় ভালো কথা। না চাইলে কি করার।'
মাশরাফি অবশ্য অবসর নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোন সিন্ধান্ত নেননি। তিনি জানিয়েছেন, দেখুন গতকাল পর্যন্ত আমি বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার ছিলাম। আজকে থেকে তো আর চুক্তিবদ্ধ নেই। আমি সবসময় চিন্তা করি যে ক্রিকেট বোর্ড হচ্ছে খেলোয়াড়দের অভিভাবক। তাদের বিরুদ্ধে যাওয়াকে আমি কখনোই সঠিক মনে করিনি এবং মনেও করি না কখনো। আমি সবসময় মনে করি যে একজন খেলোয়াড়কে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া উচিত তার ক্রিকেট বোর্ডকে। ক্রিকেট বোর্ড একজন খেলোয়াড়ের দেখাশুনা করে। তাই ক্রিকেট বোর্ডকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ যে তারা চেয়েছে আমাকে অবসর করানোর জন্য। তবে আমি তো আগের দিনও বলেছি যে আমি ক্লিয়ার ম্যাসেজ দিয়ে দিয়েছি (মাঠ থেকে অবসর) যে তেমন ইচ্ছা আমার নেই। যদি আল্লাহতায়ালা তেমন সুযোগ রাখে বা আসে তখন দেখা যাবে। আমার তেমন কোনও ইচ্ছা নেই।