১৭ জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এটি তরুণদের উঠে আসার মঞ্চ। স্বভাবতই সেই টুর্নামেন্টে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন পাকিস্তানের উঠতি পেসার আকিফ জাভেদ। শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙতে চান তিনি।
বড় আশা নিয়ে যুব বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন আকিফ। দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে চান তিনি। পাশাপাশি তার মনে আরেকটি সুপ্ত বাসনা আছে। সেটি হল গতিতে শোয়েবকে ছাড়িয়ে যাবেন এ উদীয়মান পেসার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গতিতে ১০০ মাইলের গণ্ডি পেরোনো প্রথম বোলার শোয়েব। ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউল্যান্ডসে ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার বেগে এক ডেলিভারি করেন তিনি। এক অর্থে আগুনের গোলা ছুড়েন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। এখন পর্যন্ত সেটিই সর্বোচ্চ অর্থাৎ দ্রুততম গতির বল হয়ে রয়েছে।
এবার তা ছাড়িয়ে যেতে চান ১৯ বছর বয়সী আকিফ। এক ভিডিওবার্তায় সেই মনোবাসনা জানিয়েছেন তিনি। সেটি নিজেদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
আকিফ বলেন, শোয়েবের মতো দ্রুতগতির বোলার হতে চাই আমি। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করেছি আমি। কিন্তু আমার লক্ষ্য, ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির বলটি করা।
শোয়েবকে ছাড়িয়ে যেতে চাইলেও আকিফের পছন্দের বোলার স্বদেশি মোহাম্মদ আমির। বিশেষ করে তার সুইংয়ের ভক্ত তিনি। তাকে অনুকরণ করার চেষ্টাও করেন উদীয়মান পেসার।
তবে পাকিস্তান ক্রিকেট মহলে শোয়েবের সঙ্গেই তুলনা চলছে আকিফের। ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে ঘণ্টায় ১৪৬ কিলোমিটার গতিতেও বল করেছেন তিনি। এরপর একাডেমির কোচদের সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন সম্ভাবনাময়ী পেসার। নিজেকে কীভাবে আরও কার্যকর করে তোলা যায় তা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন তিনি।
আসন্ন বিশ্বকাপ খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আকিফ। কিছুদিন আগে জাতীয় টি-টোয়েন্টি কাপে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজকে আউট করেছেন তিনি। দিন যত যাচ্ছে, ততই লাইমলাইটে আসছেন প্রতিশ্রুতিশীল পেসার। এখন লক্ষ্য পূরণে কতটুকু সফল হন, তাই দেখার।