দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলা, উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য তো বরাবরই কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে প্রোটিয়াদের মাটিতে শুরু হচ্ছে আইসিসির অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। যে টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে শনিবার জোহানেসবার্গে কথা বললেন বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক আকবর আলী।
আকবর আলী শোনালেন আশার বাণী। তার বিশ্বাস, দলে প্রতিভার অভাব নেই। নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করতে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও বাংলাদেশের বড় কিছু করার সম্ভাবনা দেখছেন যুব অধিনায়ক।
উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আকবর আলীকে বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যত তারকা মনে করা হচ্ছে এখনই। নিজে দারুণ খেলছেন, দলকেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বিশ্বকাপের আগে জোহানেসবার্গে বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনা নিয়ে বলতে গিয়ে আকবর বলে উঠলেন, ‘এটা আমাদের প্রতিভা দেখানোর দারুণ সুযোগ। আমরা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি এবং টুর্নামেন্টে ভালো করতে মুখিয়ে রয়েছে ছেলেরা। সত্যি করে বলতে আমি মনে করি, আমাদের দলটা বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। আমাদের বোলিং, ব্যাটিং আর ফিল্ডিং খুব ভালো পর্যায়ের।’
মাঠে সাহসী ব্যাটিংয়ের জন্য সুনাম আছে আকবর আলীর। বাংলাদেশ অধিনায়ক কথাবার্তাতেও ভীষণ সাহসী। রাখঢাক না রেখেই বললেন, ‘আমাদের দলের ছেলেরা খুব প্রতিভাবাবন। যদি আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি, তবে বিশ্বকাপে ওপরের দিকে থাকার খুব ভালো সুযোগ আছে আমাদের।’
এই আকবর আলীই এর আগে বলেছিলেন-শুধু গ্রুপপর্বে পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উন্নতি দেখাতেই নয়; বরং তারা টুর্নামেন্ট জেতার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবেন।
বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে নিজেদের ৩০ ম্যাচের মধ্যে ১৮টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ যুব দল। এর মধ্যে আছে নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়। ইংল্যান্ডের মাটিতেও আছে তিনটি জয়।
বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় আর মাহমুদুল হাসান জয় আছেন স্বপ্নের ফর্মে। গত দুই বছর আগে সর্বশেষ টুর্নামেন্টের পর বিশ্বের মধ্যে শুধু তারা দুজনই অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে হাজারের ওপর রান করার রেকর্ড গড়েছেন।
মূল লড়াই শুরুর আগে ১৩ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া এবং ১৫ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ যুব দল। ১৮ জানুয়ারি গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। পোচেফস্ট্রমে সেই ম্যাচে যুব টাইগারদের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। এরপর খেলবে স্কটল্যান্ড এবং সবশেষে পাকিস্তানের বিপক্ষে।