Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশকে ‘বেঈমানি’ না করার অনুরোধ শোয়েবের!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৭ PM
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তাদের সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।

পাকিস্তানে গিয়ে টেস্ট সিরিজ খেলতে চাই না বাংলাদেশ। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার ব্যাপারে বিসিবির আগ্রহ আছে। তবে বিসিবির এমন প্রস্তাব ভালো ভাবে নিচ্ছেন না পাকিস্তানের সাবেক তারকা পেস বোলার শোয়েব আখতার। তাঁর মতে, বাংলাদেশকে টেস্ট স্ট্যাটাস পেতে সাহায্য করেছে পাকিস্তান। তাই বাংলাদেশের উচিৎ পাকিস্তানের খারাপ সময়ে তাদের সাহায্য করা।

সম্প্রতি পিটিভি স্পোর্টসে গেম অন অনুষ্ঠানে শোয়েব আখতার আরও বলেন, ‘আমার মতে আজহার আলী এবং পাকিস্তান বোর্ড অনেক ভালো কথা বলেছে। বাংলাদেশ মনে আছে আমরা তোমাদের কিভাবে সাহায্য করেছিলাম? এতোটাও বেইমানি করা উচিৎ না। কারণ আমরা বাংলাদেশকে নিজেদের হাতে টেস্টে ঢুকিয়েছি, খেলিয়েছি, এতোদূর আসতে সাহায্য করেছি। বাংলাদেশ তো আমাদের অনেক ভালোবাসে। সহজ ভাষায় বলছি কারও প্ররোচনায় আসার দরকার নেই।

আপনারা আসুন, টেস্ট খেলুন। আপনাদের অনেক ভালোবাসা হবে, ইজ্জত দেয়া হবে। আমাদের আপনাকে দরকার। এগিয়ে আসুন। শোয়েব আখতার আরও বলেন, পাকিস্তানের তাড়াহুড়া করা উচিৎ নয়। তাঁদের উচিৎ বাংলাদেশকে সময় দেয়া। প্রত্যেক বোর্ডেরই নির্দিষ্ট কিছু কৌশল থাকে। বাংলাদেশ আসুক টি-টোয়েন্টি খেলুক।

এরপর বিসিবিকে সময় দেয়া হোক সিদ্ধান্ত নেয়ার। আপনি কখন খেলতে চান। পাকিস্তানের কাছে অনেক সময় আছে। ওরা যদি ২০২১ পর্যন্ত না আসে তখন পাকিস্তান চাইলে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করতে পারে। তৃতীয় দল নিয়ে আসলে চাপ কাদের ওপর থাকবে? বাংলাদেশের ওপর।

২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তান কোনো পয়েন্ট পাবে না যদি বাংলাদেশ আমাদের এখানে খেলতে না আসে। এর আগে বিসিবির বস নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অবস্থা বিবেচনায় নিরাপত্তার বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানেই আছে বোর্ড। যার ফলে টেস্ট না হলেও সাতদিনের জন্য তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার ব্যাপারে আগ্রহ আছে তাদের।

তবে এটি সম্ভব কি না সে ব্যাপারেও সন্দিহান বিসিবি সভাপতি। ‘আমরা সব খোঁজ খবর নিয়েছি। কোথাও পাকিস্তানের নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন অন্য জায়গায়। আমরা দেখছি আসলে প্লেয়ার এবং কোচিং স্টাফরা যাবে কি না? অনেক আগে থেকে কথা বলেছি। কোচিং স্টাফদের বড় অংশ না করে দিয়েছে। তারা যাবে না। আর যাও যাবে কেউ লম্বা সময় ধরে পাকিস্তান থাকতে চায় না।’

 

Bootstrap Image Preview