কথায় বলে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য শেষ ভালোটা কতটুকু ভালো হবে, সেটা হয়তো মৌসুম শেষে বোঝা যাবে। কিন্তু বছরটা তারা শেষ করলো জয় দিয়েই। বার্নলের ঘরের মাঠে খেলতে গিয়ে ওলে গানার সোলসায়েরের শিষ্যরা জয় পেয়েছে ২-০ গোলের ব্যবধানে।
অ্যান্থোনি মার্শালের জোড়া গোলে আগের ম্যাচে নিউক্যাসলকে ৪-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল ম্যানইউ। সেই মার্শাল আবারও গোল করলেন বার্নলের বিপক্ষে। আগের ম্যাচে গোল করা মার্কাস রাশফোর্ডও এই ম্যাচে গোল পেলেন। দু’জনের এই দুই গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রেড ডেভিলরা।
এই জয়ের ফলে এক লাফে সাত নম্বর স্থান থেকে ৫ নম্বরে উঠে এলো ম্যানইউ। ২০ ম্যাচ শেষে এখন তাদের পয়েন্ট ৩১। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য এক পয়েন্ট দুরে দাঁড়িয়ে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি রয়েছে তাদের সামনে। ১৯ ম্যাচে ম্যানসিটির পয়েন্ট ৩৮। ২০ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লেস্টার সিটি। আর মাত্র ১৮ ম্যাচ খেলে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে লিভারপুল।
ওলে গানার সোলসায়েরের শিষ্যদের এখন একমাত্র লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে ফ্রেশ মানসিকতা নিয়েই নতুন বছর শুরু করতে পারবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
বার্নলের বিপক্ষে পল পগবা এবং ম্যাকটোমিনায়কে ছাড়াই একাদশ সাজাতে হয়েছে সোলসায়েরকে। যে কারণে নেমজান ম্যাটিককে দিয়েই মিডফিল্ড সাজাতে হয়েছে ম্যানইউ কোচকে। যার পলে কিছুটা চাপ সামলাতেই হয়েছে ফরোয়ার্ড লাইনআপকেও।
তবে যত চাপই হোক, ৪৪ মিনিটে অ্যান্থোনি মার্শালের শর্টেই বার্নলের গোলের বদ্ধ তালা খোলে ম্যানইউ। আন্দ্রে পেরেইরার পাস থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন তিনি। ম্যাচ এই ১-০ গোলেই শেষ হতে যাচ্ছিল। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার এক মুহূর্ত আগে, ইনজুরি সময়ের শেষ মুহূর্তে, ৯৫ (৯০+৫) মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্কাস রাসফোর্ড।