Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বুয়েটের বহিষ্কৃত ১৩ শিক্ষার্থী বসতে পারবেন টার্ম পরীক্ষায়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:২০ PM
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:২০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে বহিষ্কার হওয়া আরও তিন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তিন শিক্ষার্থী হলেন – সব্যসাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিড়ী ও প্লাবন চৌধুরী। এ নিয়ে বুয়েটের মোট ১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেলেন। বুয়েট হল থেকে আজীবন ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেয়।

আদালতের তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজা বেগম।

আদালতের আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজা বেগম। তিনি বলেন, আজ তিন জনকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে, গত মঙ্গলবার প্রথমে সাত জনকে ও পরে বিকেলে আরও তিন জনকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

মাহফুজা বেগম বলেন, আদেশের পাশাপাশি আদালত রুল জারি করেছেন। যদি রুল খারিজ হয়ে যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের শাস্তি বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ আদালতের আদেশে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া তিন শিক্ষার্থী হলেন— সব্যসাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিরী ও প্লাবন চৌধুরী। এর আগে যে ১০ জন সুযোগ পেয়েছিলেন তারা হলেন— মির্জা মোহাম্মদ গালিব, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মুন্তাসিম, আসিফ মাহমুদ, মুনতাসির আহমেদ, আনফালুর রহমান, অর্ণব চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, তানভীর হাসনাইন ও মোহিবুল্লাহ।

রিট আবেদন থেকে জানা যায়, র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বুয়েটের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শাস্তি দেওয়া হয়। শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৩ জন শাস্তির কপি হাতে পাওয়ার পর এর বিরুদ্ধে একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করেন। কিন্তু তা খারিজ হয়। এর বৈধতা নিয়ে তারা পৃথক পৃথক রিট দায়ের করেন।

Bootstrap Image Preview