স্পেশাল অলিম্পিক স্বর্ণপদক প্রাপ্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিভাবান টেবিল টেনিস খেলোয়াড়, সাজ্জাদ হোসেন মোস্তাকের অকাল মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে তার নিজ এলাকা নড়াইলে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ, কেউই তার এই অকালে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেনা।
সন্তানের অকাল মৃত্যুতে হতবিহ্বল মা তানজিরা বেগম। ৭ বছরের দীঘিকে নিয়ে আগামীর ভাবনায় দিশেহারা স্ত্রী মেরিনা খানম।
মাত্র ৭ মাসের অসুস্থতায় কিডনি সক্রামনে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন দুবাই স্পেশাল অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেবিল টেনিস খেলোয়াড় সাজ্জাদ হোসেন মোস্তাক। বয়স হয়েছিলো মাত্র ৩৬ বছর। পৃথীবির মায়া ছেড়ে চলে যাবার আগে দেশের হয়ে অসামান্ন অর্জনের গল্প লিখেছেন মোস্তাক। স্পেশাল অলিম্পিকের টেবিল টেনিসে স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন মোস্তাক। ছেলের মৃত্যুর পর তাই সেই স্মৃতি হাতড়ে ফিরছেন মা।
মোস্তাকের মা বলেন, ‘আমার বাচ্চাটাকে প্লেয়ার বানাবো, আমার বাচ্চাটাকে অনেক দূর নিয়ে যাবো।’
অলিম্পিকে অংশ নিতে পারাটাই যেখানে বাংলাদেশের জন্য আকাশের চাঁদ পাওয়ার মত। সেখানে স্পেশাল অলিম্পিকে স্বর্ণপদক যেনো তেমন কিছুই। সে স্বর্ণপদক জিতেই দেশের সুনাম বয়ে আনা মোস্তাক এখন পরপারে। তাইতো তার এ চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে এলাকাবাসীর কেউই।
এলাকাবাসীরা বলছেন, খুব ভালো ছেলে ছিলেন। সবার আপদে বিপদে তাকে পাওয়া যেত।