বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে বহিষ্কার হওয়া আরও তিন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেয়।
তিন শিক্ষার্থী হলেন - সব্যসাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিড়ী ও প্লাবন চৌধুরী। এ নিয়ে বুয়েটের মোট ১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেলেন। বুয়েট হল থেকে আজীবন ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হন তারা।
আজ আদেশের সময় ছাত্রদের করা রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিনুদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজা বেগম।
আদালত থেকে বের হওয়ার পর মাহফুজা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত তার আদেশে এই তিন ছাত্রকে তাদের আসছে টার্ম পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে, তাদের বহিষ্কার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আদালত রুলও জারি করেছেন। যদি ওই রুল পরবর্তীতে খারিজ হয়, সেক্ষেত্রে এই ছাত্রদের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে না। আর যদি রুল যথাযথ হয় তাহলে এদের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’
গত ২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ বুয়েট থেকে বহিষ্কার হওয়া ১০ শিক্ষার্থীর বিষয়ে রুল জারিসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে আদেশ দেন। ওইদিন পৃথক পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বুয়েট শিক্ষার্থী মির্জা মোহাম্মদ গালিব, জাহিদুল ইসলাম, মুনতাসির আহমেদ, আসিফ মাহমুদ, মো. মুস্তাসিন, আনফালুর রহমান, অর্ণব চৌধুরীর বিষয়ে আদেশ দেন। এরপর একই দিন বুয়েট থেকে বহিষ্কার হওয়া অপর তিন ছাত্র নাহিদ আহমেদ, তানভীর হাসনাইন ও মুহিবুল্লাহর বিষয়ে একই আদেশ দেন আদালত।