Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যৌতুকের জন্য মাথার চুল কেটে গরম খুন্তি দিয়ে ঝলসে দিয়েছে শরীর

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৪৬ PM
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীতে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্যে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে গরম খুন্তি দিয়ে সারা শরীর ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপর চিকিৎসা জন্য হাসপাতলে নেয়ার সময় ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে সোমবার সন্ধ্যায় ওই নারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর অবস্থা গুরুতর।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার স্বজনরা জানান, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সোন্দলপুর ইউনিয়নের বড় রামদেবপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে নিলুফার ইয়াসমিন কলির (২৭) সাথে ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মোশাররফ হোসেন উজ্জলের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ৫ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্যে স্বামী কলির ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। চাপে পড়ে বাপের বাড়ি থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য কয়েক বার টাকা এনে দেন কলি। গত দুই মাস আগে সৌদি প্রবাসী উজ্জল দেশে ফেরার পর আবারও যৌতুকের জন্য কলির ওপর নির্যাতন শুরু করে।

সর্বশেষ গত বুধবার রাতে জেলা শহরের বসিরার দোকান এলাকায় ভাড়া বাসায় যৌতুকের জন্য কলির মাথার চুল কেটে দিয়ে গরম খুন্তি দিয়ে সারা শরীর ঝলসে দেয় উজ্জল। এ সময় শিশু সন্তানকে বেঁধে রাখলে কলি চিৎকার করলে ছেলেকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দেয় উজ্জল।

একপর্যায়ে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে বাপের বাড়িতে উঠেন কলি। সেখান থেকে শুক্রবার তাকে চিকিৎসার জন্য কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালায় উজ্জল। সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য কলিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সেখান থেকে বিকেলে কলিকে জেলা সদরে নেওয়ার সময় আবারও ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে উজ্জল। পরে স্থানীয় লোকজনের তাড়া খেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে রাতে কলিকে দেখতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহীম। এ সময় তারা এ ঘটনাকে বর্বরোচিত হামলা উল্লেখ করে ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে দ্রæত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।

হাসপাতালের চিকিৎসক নাসির উদ্দিন জানান, কলির সারা শরীর খুবই আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে। তার পুরো শরীরে গরম লোহা দিয়ে ঝলসে দেওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে।

Bootstrap Image Preview