চলতি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে যেমন দেখা যাচ্ছে রানবন্যা, তেমনি আবার বল হাতেও মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন বেশ কয়েকজন তরুণ পেসার। বাংলাদেশে সাধারণত স্পিনারদের রাজত্ব দেখা গেলেও, এবারের বিপিএলে প্রায় সব দলই ৩-৪ জন করে পেসার নিয়ে খেলছে প্রতি ম্যাচে।
আলাদা করে আলো কেড়েছেন ঢাকা প্লাটুনের হাসান মাহমুদ, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের সুমন খান, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মেহেদি হাসান রানা, রংপুর রেঞ্জার্সের মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধরা। প্রত্যেকেরই বিশেষত্ব বাড়তি গতি, এর সঙ্গে আছে আবার দারুণ নিয়ন্ত্রণ। এখনই বিশ্বমানের কিছু না হলেও, তাদের নিয়ে আশাবাদী জাতীয় দলের টিম ম্যানেজম্যান্টও।
আশাবাদী জাতীয় দলের তারকা ওপেনার সৌম্য সরকারও। তার দলেই আছেন সুমন, সোমবারের ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলে থাকবেন হাসান মাহমুদ। তরুণ পেসারদের ব্যাপারে আজ (রোববার) কুমিল্লার অনুশীলনের ফাঁকে সৌম্য বলেন, ‘হাসান আছে ওদের (ঢাকা প্লাটুন) টিমে, সে ভালো বল করছে। আমাদের দলে সুমন খান আছে, একটা ম্যাচ খেলেছে ভালো করেছে। আশাকরি কাল তারাও ভালো করবে।’
এসব তরুণ পেসারদের উত্থান দেশের ক্রিকেটের জন্য মঙ্গলজনক উল্লেখ করে সৌম্য আরও বলেন, ‘ওদের উঠে আসা অবশ্যই ভালো, তাদের কিন্তু পেসও আছে, এটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি ফিটনেস ও অ্যাকুরেসি বাড়িয়ে গতিটা বাড়াতে পারে তাদের জন্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্যই ভালো।’
নেপালে হওয়া সবশেষ সাউথ এশিয়ান গেমস ও এর আগে ঘরের মাঠে ইমার্জিং এশিয়া কাপে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে সিনিয়র কোটায় ছিলেন সৌম্য সরকার। এছাড়া ছিলেন হাইপারফরম্যান্স ইউনিটেও। ফলে কাছ থেকেই তিনি দেখেছেন হাসান, রানা, মুগ্ধ, সুমনদের।
তাদের কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকেই সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে রেখেছেন পরামর্শও। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এসএ গেমসে খেলেছি, অনূর্ধ্ব-২৩-এও খেলছি। আমি কোচদের কাছ থেকে বিশেষ করে বিদেশি কোচদের কাছ থেকে যেসব টিপস পেয়েছি, শিখেছি তাদের আমি সেসব বলার চেষ্টা করেছি। ওরা দুই একদিন জিজ্ঞেস করেছিল, তাদের আমি আমার ভেতরে যতটুকু আছে তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কেউ আসলে অবশ্যই তাকে আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।’