Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মুশাররফকে বাঁচাতে মরিয়া ভারত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২১ AM
আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২১ AM

bdmorning Image Preview


রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল (অব.) পারভেজ মুশাররফের মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির বিশেষ আদালত। এরই মধ্যে সাবেক এই পাক প্রেসিডেন্টকে দ্রুত নিজেদের নাগরিকত্ব প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রতিবেশী ভারত।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম ‘দ্য নিউজ’ জানায়, ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (এনআরসি) আইনে পরিণত হয়েছে। এর প্রতিবাদে আসামের পর ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে গোটা দেশ। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামী টুইটারে একটি বার্তা পাঠান। যেখানে তিনি পাকিস্তানের এই অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলকে দ্রুত ভারতের নাগরিকত্ব প্রদানের প্রস্তাবটি দেন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) টুইট বার্তায় রাজ্যসভার এই সদস্য লেখেন, ‘আমরা মুশাররফকে (পারভেজ মুশাররফ) দ্রুত নাগরিকত্ব দিতে পারি। কেননা তিনি ভারতের দরিয়াগঞ্জে (দিল্লির একটি অঞ্চল) জন্মগ্রহণ করেছেন এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হিন্দুদের সব আত্মস্বীকৃত বংশধররা নতুন নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পড়বে।’

এ দিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাকিস্তানি সাবেক প্রেসিডেন্টের পক্ষে আদালতে রিভিউ আবেদনের ঘোষণা দিয়েছে ইমরান খান সরকার। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ফেরদৌস আশিক আওন। তিনি বলেছেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফকে বিশেষ আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আমরা রিভিউ আবেদন করব।’

অপর দিকে পাক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পারভেজ মুশাররফ পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট, যিনি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত দেশের সেবা করেছেন। তিনি কোনোভাবেই দেশদ্রোহী হতে পারেন না। রাষ্ট্রদোহের অভিযোগে মুশাররফের এই মৃত্যুদণ্ড পাক সশস্ত্র বাহিনীর পদমর্যাদার জন্য প্রচণ্ড কষ্টকর একটি বিষয়।’

বিশ্লেষকদের মতে, ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাক প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন পারভেজ মুশাররফ। দেশে জরুরি অবস্থা জারি, অনৈতিকভাবে বিচারপতি বরখাস্ত, বেনজির ভুট্টোকে হত্যা ও লাল মসজিদে তল্লাশি অভিযানসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের মামলায় বর্তমানে পলাতক রয়েছেন সাবেক এই পাক সেনাপ্রধান।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর অযথাই পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে দেশটির বিশেষ আদালতে মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বিতর্কিত এই মামলাটির রায় আদালতে ঝুলে ছিল।

Bootstrap Image Preview