Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৪ AM
আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৪ AM

bdmorning Image Preview


রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের ওষুধ যাতে বাজারে আসতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি ওষুধ কেনার সময় মেয়াদ আছে কি না সেটি দেখে নেওয়ার কথা ব্যবস্থাপত্রে রোগীদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি জানি, এতে তাদের কিছু সময় নিতে হবে, তবে এতে সকলের জন্য খুবই ভালো হবে। 

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কার্ডিয়াক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ভেজাল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যাতে বাজারে প্রবেশ করতে না পারে, এ জন্য চিকিৎসকদের অবশ্যই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। রাষ্ট্রপতি ওষুধ সংরক্ষণের জন্য কক্ষের তাপমাত্রা যথাযথ রাখতে ফার্মেসি মালিকদের নির্দেশ প্রদান করতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, ৯৫ ভাগ ফার্মেসি ওষুধ সংরক্ষণের জন্য কক্ষের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখে না। তিনি বলেন, এ ধরনের সার্কুলার আমাদের সকলের জন্য সুফল বয়ে আনবে। রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চিকিৎসককে রোগীদের জন্য দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে মানসম্পন্ন ওষুধ লেখার পরামর্শ দেন।

সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্টের নামে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা না নিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। 

তিনি বলেন, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে পল্লী এলাকায় কিছু নামকরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে কোনো কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে, এর দায়ভার সকল চিকিৎসকের কাঁধেই চেপে বসে। এতে চিকিৎসক এবং রোগীদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়। তিনি এর জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রপতি নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক হতে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থে নিজ পেশার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ না করার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান। হাসপাতালের জন্য আধুনিক এবং উন্নত চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি হৃদরোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। এজন্য এ রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এ ধরনের প্রচারণা অকাল মৃত্যু থেকে অনেকের জীবন রক্ষা করবে।

তিনি সম্মেলনে যোগদানকারী সকল অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাকার্ডিও-২০১৯ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনে যোগদানকারী দেশি ও বিদেশি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের জন্য হৃদরোগ চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার আবদুল মালিক (অব.), বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট একেএম মহিবুল্লাহ এবং মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল শফি মজুমদার, অধ্যাপক মো. আফজালুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এনসি নন্দ প্রমুখ।

Bootstrap Image Preview