Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শুধু বিদেশি কোচ নয়, দেশি কোচরাও এনে দিতে পারেন সাফল্য

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৩৬ PM
আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৩৬ PM

bdmorning Image Preview


বিদেশি কোচরা ভিন্ন গ্রহের নয় যে, সব সময় তাদের নিয়োগ দিলেই সাফল্য আসবে। বরং ক্রিকেটারদের বুঝতে পারে বলে দেশি কোচরই হতে পারে বেশি কার্যকরী। এনে দিতে পারেন সাফল্য। মন্তব্য সাবেক স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের। জাতীয় দল না হোক, বয়সভিত্তিক কোনো পর্যায়েও কোচিংয়ের সুযোগ না পেয়ে আক্ষেপ ঝরলো রফিকের কণ্ঠে। দেশি কোচদের উপেক্ষা করায় বিসিবি'র কড়া সমালোচনা করলেন তিনি।

২ বছরের চুক্তি ৬ মাসও যায়নি। থোরাই কেয়ার। দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে বিসিবি'র চাকরি ছেড়েছেন পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। মার্ক বাউচারের সঙ্গে যারা দক্ষিণ আফ্রিকার দায়িত্ব সামলাবেন তারা সবাই স্বদেশি। ডিরেক্টর গ্রায়েম স্মিথ বুঝতে পেরেছেন লোকাল কোচরাই পারবে প্রোটিয়াদের উদ্ধার করতে।

শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা কেন? বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ছাড়া বড় দলগুলোতে এখন দেশি কোচ। সবাই লোকাল কোচের হাতে দায়িত্ব তুলে দিচ্ছে। আন্তর্জতিক ক্রিকেটের শুরু থেকেই ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। হেড কোচ থেকে শুরু করে ফিজিও। সব ক্ষেত্রে যেন বিদেশিরাই আস্থাভাজন হয়েউঠেছে দেমের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে। তবে, সবক্ষেত্রে না হলেও বয়স ভিত্তিক কিছু জায়গায় দেশি কোচদের উপর আস্থা রাখতে তো পারে ক্রিকেট বোর্ড।

সাবেক স্পিনার মোহাম্মদ রফিক বলেন, অনেকে আছেন যারা বিদেশি কোচের সঙ্গে কথা বা ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন না। কিন্তু যদি দেশি কোচ থাকে তাহলে কিন্তু সবকিছু গোছানো হয় এবং খেলোয়ারা নিজেদের তৈরি করতে পারেন।  জাতীয় দল না হোক। বয়সভিত্তিক দলগুলোতেও উপেক্ষিত মোহাম্মদ রফিকরা। কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু সুযোগ মিলেনা। বারবার তাই রফিকদের কণ্ঠে আক্ষেপের গল্প।

এবারের বিপিএলে ৭ দলের ৬ টিতেই বিদেশি কোচ। ক্রিকেট ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ নয়, কোচ হিসেবেও খ্যাতি নেই। এমনও কয়েকজন হেড কোচ হয়েছেন। তীব্র সমালোচনা করলেন মোহাম্মদ রফিক। একই সঙ্গে কয়েকটি দলে দেশি অধিনায়ক না করারও বিরোধীতা করলেন সাবেক স্পিনার। রফিক মনে করেন, বিদেশি কোচ রাখা অন্যায় নয়। কিন্তু দেশি কোচদের সুযোগ দেয়া উচিত।

Bootstrap Image Preview