প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবা লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। প্রথমবার অংশ নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় দারুণ উচ্ছ্বসিত দলটি। জমজমাট লড়াই হয়েছে দুই ক্লাব সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে। যেখানে ১১ খেলায় সবকটিতে জিতে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন পুলিশ। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ৪টা নবাগত দলকে চ্যাম্পিয়ন করার রেকর্ড গড়েন উপমহাদেশের প্রথম গ্রান্ড মাস্টার নিয়াজ মোরশেদ।
শেষদিন ড্র পেলেও চলত। কিন্তু জিতেই শিরোপা পুলিশের ঘরে। প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে প্রথমবার দল গঠন করেই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ পুলিশ। তাই হাসি হাসি মুখে এমনই একটা সুখী পরিবার পুলিশের দাবাড়ুরা।
জিয়া, রাকিব, রাজ়িব। দেশের শীর্ষ ৫ গ্রান্ড মাস্টারের ৩ জনই ছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব দলে। কিন্তু বাঘা বাঘা এইসব দাবাড়ুরা হেরেছে। ফাহাদ- নিয়াজ মোরশেদ ও জর্জিয়ার দুই গ্রান্ড মাস্টারের সমন্বয়ে গড়া দলের কাছে। বিভিন্ন দেশের ৭১ জন প্রতিযোগী হারিয়ে প্রথম বারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ পুলিশ।
টিম ক্যাপ্টেন ডঃ শোয়েব রিয়াজ আলম, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি এবং আমরা চ্যাম্পিয়নশিপ ও জিতেছি। কন্টিনিউ করার চেষ্টা করব।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে ৪টা নবাগত দলকে চ্যাম্পিয়ন করার রেকর্ড গড়েন উপমহাদেশের প্রথম গ্রান্ড মাস্টার নিয়াজ মোরশেদ। ১১ খেলায় সাইফের সঙ্গে পুলিশের লড়াই হয়েছে সমানের সমান। শুধু এক ম্যাচে ছোট্ট ভুলে পুলিশের কাছে এক গেম হেরে যায় সাইফ। তাতেই কপাল পোড়ে ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়নদের। আর এ বয়সেও দাবা বোর্ডে অমলিন নিয়াজ মোরশেদ।
নিয়াজ মোরশেদ বলেন, খুব ভালো লাগছে, খুব টাফ ছিলো এবার। শেষমেষ আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, স্পিরিটটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট।
হেরেও টুর্নামেন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ২০১১ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে দেশের দাবায় উন্নতির উল্ল্যেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। ২০০৮ এরপর আর কোনো গ্রান্ড মাস্টার বের না হওয়ায় আক্ষেপ আছে বিদেশীদের।
আকষাত কম্পেরিয়া বলেন, দাবায় বাংলদেশ উন্নতি করছে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মত না। ২০০৮ এ তোমাদের সবশেষ গ্রান্ড মাস্টার বেরিয়েছে। নতুনদের আরও সুযোগ দিতে হবে
সবার শেষে থেকে আসর শেষ করায় সুলতানা কামাল স্মৃতি পাঠাগার ও সোনারগাঁও চেস ক্লাব প্রথম শ্রেণিতে নেমে গেছে।