Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ রবিবার, মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মালয়েশিয়ায় টাকা দিয়েও ওয়ার্ক পারমিট পায়নি লাখ লাখ অভিবাসী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৫ AM
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৫ AM

bdmorning Image Preview


প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মালয়েশিয়ায় কাজের অনুমতি না পাওয়ায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিভিন্ন দেশের ৬ লক্ষাধিক অভিবাসী। এমন দাবি করেছে মালয়েশিয়ার তানাগানিতা নামক একটি এনজিও। মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সোমবার এ খবর প্রকাশ করেছে।

কাজের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) না থাকা প্রবাসীদের ওয়ার্ক পারমিট দেয়ার জন্য ২০১৬ সালে ‘রিহায়ারিং প্রোগ্রাম’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয় মালয়েশিয়া সরকার। ২০১৮ সালে প্রকল্পটি শেষ হয়।

সরকারী প্রকল্পটি পরিচালনা করে দেশটির কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা (ভেন্ডর)। এনজিওটির দাবি, তারা প্রতি অভিবাসী থেকে ৬ হাজার রিঙ্গিত বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জমা নেয়। টাকা জমা দেয় বিভিন্ন দেশের মোট ৭ লাখ ৪৪ হাজার অভিবাসী। এ হিসেবে ৭ লাখ ৪৪ হাজার অভিবাসী থেকে এ প্রকল্পে সরকারের আয় হয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৪ হাজার মানুষের থেকে টাকা জমা নেয়া হলেও ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হয়েছে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার অভিবাসীকে।

বাকি ৬ লাখ ৩৪ হাজার প্রবাসীকে ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের টাকাও ফেরত দেয়া হয়নি। এনজিওটির হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট না পাওয়া প্রবাসীদের জমা দেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা।

প্রতিবেদন প্রকাশকারী ওই সংস্থার পরিচালক জোসেফ পল মালাইমফ বলেন, টাকা দিয়েও এসব প্রবাসীরা ওয়ার্ক পারমিট পায়নি। তারা তাদের পাসপোর্টও হারিয়েছে। ওয়ার্ক পারমিটের জন্য তারা ভেন্ডরের কাছে পাসপোর্ট জমা দিয়েছিল।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকার কোনো দায় নিতে চায় না। আবার ভেন্ডররাও সরকারের ওপর দায় চাপাচ্ছে । এর ফলে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬ লাখের বেশি অভিবাসী ভুক্তভোগী হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview