ইসলামফোবিয়াসহ বিভিন্ন অপপ্রচার রোধে পাঁচটি মুসলিম দেশকে নিয়ে আয়োজিত ‘কুয়ালালামপুর সামিট-২০১৯’এ অংশ নিচ্ছেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ওই সম্মেলনে অংশ নিতে অপারগতার বিষয়টি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদকে টেলিফোনে জানিয়েছেন তিনি। খবর আল আরাবিয়া ও ইরনার।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদকে ফোন করে কুয়ালালামপুর সামিটে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে তার অপারগতার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ইমরান খান এ জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছেন।
এ সম্মেলনে সম্মেলনে অংশ নিয়ে ইমরান খান মুসলিম বিশ্বের সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরবেন বলে মালয়েশিয়া আশা করেছিল।
গত মাসে ‘কুয়ালালামপুর সামিট-২০১৯’ নামে তুরস্ক, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং কাতারকে সঙ্গে নিয়ে নতুন এক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদ।
এতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান ও কাতারের আমির শেথ তামিম বিন হামাদ আলে সানি ও ইন্দোনেশিয়ার জুকো উইদোদো অংশ নেবেন। এছাড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি অংশ নিতে পারেন বলেও বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
১৮ থেকে ২১ ডিসেম্বর ‘কুয়ালালামপুর সামিট-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের এজেন্ডা হিসেবে গুরুত্বসহকারে থাকছে উন্নয়ন ও সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও সুশাসন, সংস্কৃতি ও পরিচয়, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা, শান্তি-সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনা এ সাতটি বিষয়।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরবের চাপের মুখে কুয়ালালামপুর সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না ইমরান খান। ওই সম্মেলনে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের শীর্ষ নেতৃত্ব আমন্ত্রিত না হওয়ায় এই দু'টি দেশ ক্ষুব্ধ হয়েছে।
সূত্রটি আরও বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলনে অংশ নিতে রাজি হওয়ায় সৌদি আরব অসন্তোষ প্রকাশের পর ইমরান খান রিয়াদ সফরে যান। সৌদি থেকে ফিরেই তিনি কুয়ালালামপুর সম্মেলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।