Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ডাউকি সীমান্ত দিয়ে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ করে দিলো ভারত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:১৯ PM
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:১৯ PM

bdmorning Image Preview


সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (এনআরসি) নিয়ে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয় রাজ্যে বিক্ষোভের জের ধরে ডাউকি সীমান্ত দিয়ে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের মেঘালয় সরকার।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে হঠাৎ করে মেঘালয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন।

জানা যায়, এনআরসি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে আন্দোলন চলে আসছে। কোথাও কোথাও সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিলেটের সীমান্তবর্তী মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছেন পর্যটকরা। শিলং বেড়াতে গিয়ে কোন পর্যটক যাতে হয়রানির শিকার না হন এজন্য শুক্রবার সকাল থেকে ডাউকি সীমান্ত দিয়ে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ করে দেয় মেঘালয় সরকার। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিপাকে পড়েন অনেক পর্যটক।

শুক্রবার সকালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক পর্যটক ভিড় করেন তামাবিল স্থলবন্দরে। সকালে তামাবিলে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে কয়েকজন পর্যটক ভারতের ডাউকি ইমিগ্রেশন সেন্টারে যান। সেখান থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে তামাবিল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বাধ্য হয়ে পর্যটকরা ফিরে আসেন। কবে নাগাদ এই নিষেধাজ্ঞা উঠতে পারে তাও বলতে পারছেন না দুদেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ জানান, ডাউকি দিয়ে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী ট্রাক আসা চালু রয়েছে। শুক্রবার সারাদিন ডাউকি সীমান্ত দিয়ে তামাবিলে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। ফলে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে, মেঘালয়ের ডাউকি সীমান্ত দিয়ে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও স্বাভাবিক রয়েছে সিলেটের শেওলা ও জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পর্যটক চলাচল। এ দুই শুল্ক স্টেশনের বিপরীতে ভারতের আসামের সুতারকান্দি ও করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন চালু রয়েছে।

শেওলা শুল্ক স্টেশনের ইমিগ্রেশন অফিসার এসআই আবুল কালাম জানিয়েছেন, শুক্রবার ২০-২৫ জন পর্যটক ও ব্যবসায়ী শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন। সীমান্তের ওপারে ভারতের ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।

প্রসঙ্গত, সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শত পর্যটক ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে বেড়াতে যান। শুক্র ও শনিবার সবচেয়ে বেশি পর্যটক যান শিলংয়ে। আজ তিনশতাধিক পর্যটক শিলং যাওয়ার জন্য তামাবিল যান। কিন্তু সীমান্তের ওপারে ডাউকি ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় তারা সিলেট শহরে ফিরে আসেন।

Bootstrap Image Preview