স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গত চার মাসে দুই হাজার ডাক্তারকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদান করবে।
আগামী ৮ই ডিসেম্বর সাড়ে ৪ হাজার নতুন ডাক্তার জেলা-উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যোগদান করবে। এতে করে হাসপাতালগুলোতে আর ডাক্তার সংকট থাকবে না। শনিবার বেলা ১২টায় মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন- আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের আটটি বিভাগে পনের তলাবিশিষ্ট আটটি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এই হাসপাতালের প্রথম ছয় তলায় ক্যানসার চিকিৎসা করা হবে এবং এরপরে কিডনির অনুমোদন দেয়া হবে।
কারণ কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের জন্য ঢাকায় যেতে হয়। ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে অনেক সময় গরিব মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায় এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেন। একারণে প্রতিটি জেলায় দশ বেডের কিডনি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন- দেশে এখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আগামীতে ডেঙ্গু রোগী মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ সব ধরনের প্রস্তুতি রাখছে। তবে এডিস মশা নির্মূলের জন্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে সঠিক সময় তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ সময় পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আখতারুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাদিরা আক্তার, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আব্দুল আওয়াল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা লিজা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী ভাণ্ডারি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।