জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে। যুক্তরাষ্ট্র এ উদ্যোগের প্রতি স্বাগত জানিয়েছে এবং দুদেশের মধ্যে বিভেদ মিটিয়ে ফেলার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে সিউল শুক্রবার এর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে উত্তেজনার শুরু কয়েক দশক আগে। কিন্তু সম্প্রতি দুদেশের মধ্যে চলেছে ঘাত-প্রতিঘাত পদক্ষেপ। এ বৈরিতার মূলে রয়েছে ‘কমফোর্ট উইমেন’ প্রসঙ্গ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লাখ-লাখ কোরীয় নারীকে জাপানী সৈন্যদের জন্য বেশ্যালয়ে ঠেলে দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া তার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আসছে। জাপান বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার বিবেচনায় রয়েছে।
জাপান দক্ষিণ কোরিয়ার আনুকূল্য বাণিজ্য অংশীদার মর্যাদা প্রত্যাহার এবং এর ইলেক্ট্রনিকস খাতের ওপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার পর দক্ষিণ কোরিয়া আগস্টে ঘোষণা করে যে, দেশটি গোয়েন্দা অংশীদারিত্ব চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবে।
সিউল শুক্রবার বলেছে, তারা শর্তসাপেক্ষে মেয়াদ সমাপ্তি স্থগিত করবে। জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা কিম ইউ জিউন নিশ্চিত করেছেন যে, জিএসওএমআইএ (জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট) নামের চুক্তিটিকে মধ্যরাতে শেষ হতে দেয়া হবে না। কিন্তু তিনি সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, এ চুক্তির অবসান যে কোন সময় হতে পারে।
করেছে। জাপানী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এজন্য দক্ষিণ কোরিয়া চুক্তিতে যুক্ত থাকার জন্য এক কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র এ সিদ্ধান্তের প্রতি স্বাগত জানিয়েছেন।